ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ায় যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

সাতকানিয়ায় যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

526

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় বিলের মধ্যে ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় মো. শফিউল আলম (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া ব্যবসায়ীপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে। গতকাল (শনিবার) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জনার কেঁওচিয়া মাইজপাড়া সড়কের পাল ও শীল পাড়ার দক্ষিণ পার্শ্বে বিলের মধ্যে এক ডোবা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

তবে লাশের স্বজনদের দাবি, তাকে খারাপ কাজে জড়িত করতে না পারায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ডোবার মধ্যে ফেলে দিয়ে গেছে খুনিরা। গতকাল রাত ৯ টার দিকে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের বড় ভাই মাস্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহত শফিউল গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়িতে আসে। তার ঘরে বেড়াতে আসা বোনদের দাওয়াতও খাওয়ায় সে। গত শুক্রবার সকালে পাঞ্জাবি, প্যান্ট পড়ে ও হাতে ঘড়ি লাগিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে কিছু টাকা খুঁজে নেয়। পরে সাতকানিয়া মাঝের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা বলে সারাদিন ও রাতে আর সে ঘরে ফিরেনি। তিনি আরো বলেন, গতকাল (শনিবার) প্রায় সন্ধ্যার দিকে জনার কেঁওচিয়া মাইজপাড়া সড়কের পাল ও শীল পাড়ার দক্ষিণ পার্শ্বে ফুটবল খেলারত ছেলেদের বল বিলের মধ্যে ডোবায় পড়ে। এ সময় তারা বলটি তুলতে গেলে লাশটি দেখতে পায়। পরে লাশের পরিচয় পেয়ে আমার ভাই জেনে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তবে, এ ব্যাপারে নিহত যুবকের শ্যালক মো. মোরশেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার নিখোঁজের পর এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, দুলাভাইকে থানায় ধরে নিয়ে গেছে। আবার থানায় গিয়ে খোঁজ করে তাকে পায়নি। ১৫দিন আগে তিনি গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে নগরীর টেরিবাজার কাটাপাহাড় এলাকায় লেবারি করেন। প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়ি আসেন। তিনি আরো বলেন, কিছু খারাপ লোক তাকে (শফিউল আলম) খারাপ কাজে জড়িত করতে চেয়েছে। সেটা বুঝতে পেরে তাকে আমরা শহরে নিয়ে গেছি। যারাই তাকে এ কাজে জড়িত করতে পারেনি, তারাই তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়। তার নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এছাড়া গলার বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে’।

কেঁওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আহমদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় একব্যক্তি আমাকে লাশ পানিতে ভাসার খবরটি দেয়। তবে কেন এবং কি কারণে সে মারা গেছে এখনও ধারণা করতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, উদ্ধার লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে ঘটনার সত্যতা বের হবে। নিহতের স্বজনরা ( এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) থানায় এখনো কোন মামলা করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!