নিউজ ডেক্স : দেশে করোনা শনাক্তের কিট সংকটের প্রভাব চট্টগ্রামেও পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে ল্যাব সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে দুটি ল্যাবে ফুরিয়ে এসেছে কিট। সময়মতো কিট এসে না পৌঁছালে রোববারের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা। চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব সংশ্লিষ্টরা কিট সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে সরকারি অন্য দুটি ল্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব কিট মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আরও দুই থেকে তিন দিন পরীক্ষা চালানো যাবে।
বিআইটিআইডি ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে সর্বশেষ ২৮৮টি কিট রয়েছে। যা দিয়ে আরও একদিন কাজ চালাতে পারবো। ‘রোববারের জন্য আমরা ভিন্ন উপায়ে চিন্তা করছি। পরীক্ষা বন্ধ রাখা যাবে না। কিট না আসা পর্যন্ত অন্য ল্যাব থেকে কিট এনে কাজ চালাবো।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের প্রধান আহসানুল হক কাজল বলেন, আমাদের যে কিট রয়েছে তা দিয়ে আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে ঢাকায় চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, আমরা একটি কিট দিয়ে দুটি পরীক্ষা করছি। এতে করে টেস্টে করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন দেড় শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করি। সে হিসেবে আমাদের কাছে যা কিট আছে তা দিয়ে আরও কয়েকদিন পরীক্ষা চালানো যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় করোনা ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা শেষে আমাদের কাছে আরও ৪ শতাধিক কিট থাকবে। এসব কিট দিয়ে আরও কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
সম্প্রতি নতুন আরও একটি ল্যাব যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামে সরকারি চারটি এবং বেসরকারি দুটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ছয়টি ল্যাবে প্রতিদিনই প্রায় নয়শ থেকে এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
কিট সংকটের কারণে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে গত পাঁচ দিন থেকে বন্ধ করোনা পরীক্ষা। এছাড়া একই কারণে বন্ধ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা। বাংলানিউজ