
দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, চরতি, সুইপুরা, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, পুরানগড়, গাটিয়াডেঙ্গা, মার্দাশা, রূপনগর, আলীনগর, সাতকানিয়া সদর, চন্দনাইশের বরকল, কেশুয়া, চর বরমা, হাশিমপুর, দোহাজারী, হাছনদণ্ডী, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ সদর, কাঞ্চননগর, পূর্ব হারালা, বাঁশখালীর পুঁইছড়ি, চাম্বল, ডোংরা, কালিপুর, শেখেরখীল, ছনুয়া, ভাদালিয়া, বড়ঘোনা, লোহাগাড়ার চুনতি, আধুনগর, চাকফিরানী, আমিরাবাদ, পুঁটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, খাসহামা, কাটাখালী, বোয়ালখালী ও পুটিয়ার কয়েকটি গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামীকাল ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি দিবেন। যেসব এলাকায় মির্জাখীল দরবার শরীফের অধিক সংখ্যক মুরিদ রয়েছে সেসব এলাকায় পৃথক ভাবে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। আর যেখানে মুরিদ সংখ্যা কম তারা মির্জাখীল দরবার শরীফ এলাকায় গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরে বাড়ি ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দিবেন। এছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের টেকনাফ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, বান্দরবানের লামা, রাঙ্গামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, হাতিয়া, কুমিল্লা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকার মোহাম্মদপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, রাজশাহী, রংপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ফরিদপুর ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ একই দিনে ঈদ উল আযহা উদযাপন করবেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের মুখপাত্র ও মির্জাখীল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী জানান, মির্জাখীলের প্রায় পুরো গ্রামের মানুষ আগামীকাল ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় ও কোরবানি দিবেন। প্রায় দুই শতাধিক বছরের অধিক সময় ধরে মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা পালন, ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহা উদযাপন করে আসছেন। তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় দরবার শরীফের মুরিদ বেশি রয়েছে তারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করবেন। আর যেখানে দরবার শরীফের ভক্ত কম সেসব এলাকার মুরিদগণ মির্জাখীল দরবার শরীফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

-আজাদী প্রতিবেদন