Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কারা আসছেন মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে?

কারা আসছেন মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে?

নিউজ ডেক্স : দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘ ১৬ বছর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইউনিট হলো চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা। দীর্ঘ ১৬ এবং ১৭ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ দুটি জেলায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নগর-জেলার শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ভাব বিরাজ করছে। মহানগরী ও জেলায় গত ১৬-১৭ বছর ধরে যারা নেতৃত্বের আশায় রাজনীতি করছেন-আর যারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে আ.লীগে আসতে চান-এমন প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায়-নতুন নেতৃত্বে সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায়-যারা এতোদিন হতাশায় ছিলেন-তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় একাধিকবার তাদের বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতাদের মহানগর এবং জেলা আ.লীগের নতুন কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য বলেছেন। এরপর থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং যুবলীগ নেতারা এখন উন্মুখ হয়ে আছেন-আ.লীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার আশায়। গত ১৪ মে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দক্ষিণ জেলা আ.লীগের তৃণমূলের সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। অপরদিকে গত ২৫ মে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তেন। ঐ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে পুনরায় সভাপতি এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদেকে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছিলেন। পরবর্তীতে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে মোছলেম উদ্দিন আহমদেকে সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৬ জুন নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তেন। ঐ সম্মেলনে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং প্রয়াত কাজী এনামুল হক দানুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক কাজী এনামুল হক দানু মারা গেলে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি ও আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন আর সম্মেলন হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর সিনিয়র সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মূলত ২০১৩ সালের পর থেকে গত ৯ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন কোন নেতৃত্ব আসতে পারেনি। এই দীর্ঘ ৯ বছরে কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতাদের আওয়ামী লীগে স্থান হয়নি। একই অবস্থা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও। মহানগর ও দক্ষিণ জেলায় আসন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতাদের অনেকেরই স্থান হতে পারে আওয়ামী লীগের কমিটিতে। এজন্য মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে এবার প্রাণচাঞ্চল্য বেশি। -আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!