এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার একমাত্র পশুর হাট-বাজার পদুয়া তেওয়ারীহাট করোনা আতঙ্কে জমে উঠেনি। প্রতি সপ্তাহের বোরবার ও বুধবার এ বাজার বসে। বাজারের দিন বিক্রেতারা গরু-ছাগল নিয়ে আসলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই নগণ্য। এ নিয়ে দু:চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন বাজারের ইজারাদার।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার খামারি ও নিজেদের লালন-পালন করা গরু এনেছেন বিক্রির জন্য। তবে কাঙ্খিত ক্রেতা মিলছে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টির দূর্ভোগ। গরুগুলোকে সুস্থ রাখতেই গলদঘর্ম অবস্থায় ব্যবসায়ীদের। সামনে ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকে বাজারে না গিয়ে গরু কিনতে চাইছেন। তারজন্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেইজ ও গ্র“পে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে পোষ্ট করা কোরবানির পশু পছন্দ হলে মুঠোফোনেই দর-দাম সেরে নিচ্ছেন।
গরু বিক্রেতা হাবিবুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকার সিদ্ধান্ত মতে সীমিত আকারে পশুর হাট বসলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারে কম। প্রতি বাজারে গরু নিয়ে আসলেও বিক্রি না হওয়ায় গরু নিয়ে বাড়িতে ফেরত যেতে হয়।
পদুয়া বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হাসেম জানান, তেওয়ারীহাট বাজার বসার জন্য সরকারের নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও তা দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। ফলে বাজার বসতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক দিকে করোনার ধাক্কা, অন্যদিকে প্রভাবশালীদের ধাক্কা সবমিলে এখন ব্যবসা পরিচালনা করা কষ্টকর।
ইজারাদার রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, চলতি সনে ১ কোটি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় তেওয়ারীহাট বাজার ইজারা নিয়েছি। বাজার ইজারা নেয়ার আগে থেকেই করোনার মহামারির জন্য হাট-বাজার বসনো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। বর্তমানে লকডাউন তুলে নিলেও সাধারণ মানুষ করোনা আতঙ্কে ভূগছেন। যার ফলে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি খুবই কম। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করা হচ্ছে। এক বছরের জন্য এই বাজার ইজারা নিয়ে এখন লোকসানের আশংকায় আছি। যার ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হব। করোনা আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ জানান, তেওয়ারীহাট উপজেলার একমাত্র পশুর বাজার। তাই এই বাজারে ইজারাও বেশি। যদি করোনার কারণে পশুর বাজারে প্রভাব পড়ে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানান।