নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের ধরে এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ ও চাঁদা আদায় করা হতো। না পেলেই চলতো অমানুষিক নির্যাতন।
রোববার (৭ আগস্ট) রাতে এই টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল ও বাকি দুই যুবকের বাড়ি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং সাতকানিয়া। টর্চার সেলে জড়িত ১১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন।
সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্বপাশে কটেজ জোনে নিয়মিত নানা অপরাধ ও পর্যটক জিম্মি করে রাখে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তন্মধ্যে ‘শিউলি কটেজ’ নামের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় আসলে এটি পর্যটক আবাস অযোগ্য জায়গা। যেখানে দালালরা পর্যটকদের ফুসলিয়ে নিয়ে এসে মুক্তিপণ ও চাঁদা দাবি করতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল জানান, ভুক্তভোগীদের ২ জন রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে রাত কাটানোর জন্য সস্তা কক্ষ খুঁজতে কটেজ জোনে যায়। সেখানে পথিমধ্যে দালালের খপ্পরে পড়ে তারা। দালালরা কম দামের কক্ষের কথা বলে শিউলি কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আরো অধিক দাম দাবি করে। তা না দেওয়ায় তাদের কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া দুই যুবককেও কম দামের কক্ষের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে অধিক দাম দাবি করা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় কটেজে থাকা খারাপ মেয়েদের সাথে ছবি তুলে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। না দেওয়ায় তাদেরও আটকে রাখা হয়। -আজাদী অনলাইন