এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজনসহ ৬১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আরো ১০০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা গেইট এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় (৩৩)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীরা স্বৈরশাসকের দোসর ও অবৈধ ক্ষমতা দখলদারী, নিরীহ মানুষ নির্যাতনকারী, ভূমিদস্যু, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী, অবৈধ বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মারাত্মক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক হয়। তাদের প্রত্যেকের হেফাজতে অবৈধ লাইসেন্স বিহীন বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আসামীরা অস্ত্র হাতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় মহড়া দিয়ে জনমতে আতংক সৃষ্টি করেছে। আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগ স্বৈরশাসকের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে পাহাড় দখল, উপজেলার খাল হতে অনুমতিহীন অবৈধ বালু উত্তোলন, মাদক ব্যবসা, অবৈধভাবে ভূমি দখল ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসাসহ প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এছাড়া আসামীরা স্থানীয় থানাকে প্রভাবিত করে প্রতিবাদকারী সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাড়িতে গিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়ে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট উপজেলার পদুয়া সেভেন স্টার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল শুরুর প্রাক্কালে আসামীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিদেশী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ ছাত্র জনতার পথরোধ করে মিছিলে উপর্যুপুরি গুলি ছুঁড়ে। পরে আসামীরা আন্দোলনরত অসংখ্য সাধারণ ছাত্রদের ধারালো রাম দা, হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে ধাওয়া দিয়ে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, দোকানপার্ট ভাংচুর, ককটেল ও পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমতে আতংক সৃষ্টি করে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।