ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | উখিয়া-টেকনাফের উপকুলে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল

উখিয়া-টেকনাফের উপকুলে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল

IMG_20180211_202434
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়া টেকনাফ উপজেলার উপকুল জুড়ে গড়ে ওঠেছে সরকারের অনুমতি বিহীন অবৈধ করাত কল। সেই করাত কলে রাত দিন চিরায় করা হচ্ছে সাগর পাড়ের ঝাউ গাছ সহ বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সংশ্লিষ্ট বন কর্মকতাদের উৎকুচের মাধ্যমে মেনেজ করে নিয়মিত তারা করাত কলের ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ।
রাতারাতি বনাঞ্চলের গাছ নিধন পূর্বক করাত কলে চিরায় করে বনাঞ্চল উজাড় করে মরুভূমিতে পরিনত করা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। বন প্রহরিরা মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু কাঠ আটক করলেও রিতিমত করাত কলের ব্যবসা আব্যহত রয়েছে।
রামু খুনিয়া পালং, উখিয়ার জালিয়া পালং, টেকনাফ বাহার ছড়া শাপলাপুর, সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আট থেকে দশটির মত করাত কল রিতিমত চালু রয়েছে। প্রভাব শালীরা এতে বন কর্মকতাদের বিভিন্ন ভাবে মেনেজ করে করাত কলের ব্যবসা অব্যহত রেখেছে।
করাত কলের মালিক খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ছরোয়ার জানান, তার সিন্ডিকেটে তিন থেকে চারটি করাত কল রিতিমত চালু থাকে।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের করাত কলের মালিক ইউছুফ জালাল বলেন, বন বিভাগকে মাশুহারা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
ছেপট খালীর নুরুল আলম, শাপলাপুরের হামিদ হোসন, জসিম মিস্ত্রী সহ আরও অনেকে জানান, আমরা বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করাত কলের ব্যবসা অব্যহত রেখেছি।
সংশ্লিষ্ট এলাকা সুত্রে জানা যায, হামিদ হোসন ও জসিমের নেতৃত্বে রাতে আধারে ট্রাক ভর্তি কাঠ এনে প্রতিনিয়ত তা চিরায় করে আবার ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে। শুধু ট্রাক দিয়ে নয় শাপলাপুর পয়েন্ট দিয়ে গাছ নামিয়ে ট্রলার যোগেও পাচার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সচেতন মহলের ধারণা, শাপলাপুর ও মনখালী এলাকার ৩টি করাত কল যদি উচ্ছেদ করা না হয় তবে অত্র অঞ্চলে বনাঞ্চল নামের কিছু থাকবে না।
এই ব্যাপারে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকতা সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে অভিযান চালিয়ে খুনিয়া পালং থেকে দুইটি করাত কল জব্দ করেছি, তবে আমার এই অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
ইনানী ও জালিয়াপালং রেঞ্জের ফরেস্টা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহীম বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করা হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের ডিপু আলী কবির জানান, কক্সবাজার দক্ষিণে কোন করাত কলের বৈধতা নেয়। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!