নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে শ্যামলী পরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও এখন তিনি কোটিপতি। থাকেন আলিশান ফ্ল্যাটে। স্ত্রীর নামে রয়েছে প্রাইভেটকার। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পাওয়ার মতো করে বদলে গেছে তার জীবন। পাল্টে গেছে জীবন-যাপন।
গতকাল শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ২ নম্বর গেইট জিন্নুরাইন কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদাকে (৩৯) গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম। এসময় তার সহযোগী মোহাম্মদ করিমকেও (২৭) গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় ১০ হাজার পিস ইয়াবা।
গ্রেফতার নুরুল হুদা কক্সবাজারের চকরিয়া থানার খুটাখালীর বদিউর রহমান ড্রাইভারের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ করিম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নুরুউদ্দিন সওদাগরের বাড়ির মো. নুরুল হকের ছেলে।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন ২ নম্বর গেইট জিন্নুরাইন কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে (চট্ট মেট্রো : গ-১২-৩৭৮৫) তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অলক বিশ্বাস বলেন, ‘নুরুল হুদা দেশের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। শুরুতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ রোডে শ্যামলী গাড়ির হেলপার ছিল। এর মাঝে গোপনে টেকনাফ হতে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরায় বিক্রয় শুরু করেন। পরে টেকনাফের ৪-৫ জনকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন নুরুল হুদা। ঢাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে টেকনাফে তার সহযোগীদের বাদ দিয়ে নিজেই ইয়াবা পাঠাতে শুরু করেন।’
তিনি আরও জানান, গতকাল নুরুল হুদা নিজে ইয়াবাগুলো তার ড্রাইভারের সহায়তায় প্রাইভেটকারে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিল। ইয়াবা ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি তার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা। তার বিরুদ্ধে সিএমপি’র চান্দগাঁও ও চকবাজার থানায় দুটি মামলা রয়েছে।