নিউজ ডেক্স : আনোয়ারার সেই চিংড়িবর’-এর কথা মনে আছে! বিয়ে-পরবর্তী প্রীতিভোজে গরুর গোশত, কোরমা, মুরগির রোস্টসহ নানা আইটেম থাকলেও চিংড়ি মাছ না পেয়ে এলাহিকা- ঘটিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই কন্যাদানে অস্বীকৃতি জানান মেয়ের বাবা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই থেকে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। কন্যার পিতার আপত্তির মুখে এরপর বসে শালিসি বৈঠক। উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে সেখানেও ৩ লাখ টাকা অর্থদ- দেওয়া হয় সেই জামাইকে। শর্ত ছিল মেয়ের একাউন্টে সে টাকা ডিপোজিট করে তবেই ঘরে বউ তুলতে পারবেন তিনি। অবশেষে সব ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে গতকাল সোমবার বউ ঘরে তুলেছেন তিনি।
আলোচিত এই বরের নাম মোহাম্মদ আলমগীর (৩০)। তিনি আনোয়ারার ১১ নম্বর জুঁইদ-ী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর খুরুসকুল গ্রামের আবদুল মোনাফের পুত্র। পাশের গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের কন্যার সাথে বিয়ে হয় তার। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বটতলী বাজারের আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে আয়োজন করা হয় বিবাহোত্তর প্রীতিভোজ। সেখানেই চিংড়ি নিয়ে কা- ঘটান বর আলমগীর। ১ অক্টোবর এক শালিসি বৈঠকে উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যান ৩ লাখ টাকা অর্থদ- দেন তাকে। আর সেই অর্থ পরিশোধ করে গত শুক্রবার বউ ঘরে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু বর ও তার স্বজনরা সেদিন রায় মেনে নিলেও টাকা পরিশোধে আপত্তি করে বউ ঘরে তুলে নেয়নি।
সবশেষ গত রবিবার রাতে জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বসে দ্বিতীয় শালিসি বৈঠক। তবে এবার ভাগ্য ফিরে তাকিয়েছেন তার দিকে। আগের ৩ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা মওকুফ করে দুই লাখ করার সিদ্ধান্ত আসে এবারের বৈঠকে। তাও নগদে নয়, বাকির খাতায় লিখে নতুন বউকে ঘরে তোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। একইসাথে কন্যাকে জামাতার হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছেন সেই কন্যার পিতা মোহাম্মদ হোসেন।
জুঁইদন্ডী গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল রহমান চৌধুরী খোকা বলেন, বর ও কনেপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রথম শালিসি বৈঠকে দেয়া নগদ ৩ লাখ টাকার দ-াদেশ মওকুপ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিয়ের সময়কার দেনমোহর ৭ লাখ টাকার সাথে আরও ২ লাখ টাকা যোগ করে মোট ৯ লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। তবে সেই টাকা এই মুহূর্তে নগদে আর দিতে হচ্ছে না। সময় মতো তিনি মোহরানার টাকা কনেকে পরিশোধ করে দিবেন।
সূত্র : দৈনিক পূর্বকোণ