
নিউজ ডেক্স : বেশ কয়েকমাস আগে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। বিশ্বে পরাক্রমশালী, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশগুলোকে রীতিমত কাঁপিয়ে নাস্তানুবাদ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে একদিনে এত মানুষের অকালে চলে যাওয়ায় বিষন্ন আর আর্তনাদ অবলোকন করেছে বিশ্ব। অর্থনৈতিক মন্দা আর দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনির কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল এবং ক্রমবর্ধমান জনবহুল দেশগুলোতে এর ভয়াবহতা ভোগাচ্ছে বেশি। অপর্যাপ্ত বৈদিশিক সহায়তা, সীমিত চিকিৎসা সামগ্রী, হাসপাতাল আর জনবল নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে। সংকটের দ্বারপ্রান্তে ভয়াবহতাকে ঠেকাতে মানবতার ব্রতী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবরীরা।
বাংলাদেশেও এর প্রকটতার মাঝে গুটিকয়েক চিকিৎসক দায়িত্বে পালনে অনীহা এবং করোনা রোগের উপসর্গ আঁচ করে রোগী না দেখার ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যেও চট্টগ্রামে তৈরি হওয়া ফিল্ড হাসপাতালে ৭৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করতে আবেদন করেছেন। এদের মধ্য থেকে যাচাই বাচাই করে বেঁছে নেওয়া হবে ৫০-৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে। তবে এ ফিল্ড হাসপাতালে যারা কাজ করবেন তাদের সকলকে দিতে হবে অঙ্গীকার।

যে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ রয়েছে, করোনা রোগীদের স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সেবা দিবেন তারা। যেহেতু এ যুদ্ধে অংশ নিতে গিয়ে নিজের জীবনের ওপর আসতে পারে চরম ঝুঁকি, তাই কোন ক্ষতি হলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার এবং আমি বাধ্য থাকিব। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কাউকে দায়ী করা যাবে না।
ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, যেহেতু আমিই এ হাসপাতালের উদ্যোক্তা তাই আমি আগেই স্বাক্ষর করেছি। তাছাড়া শুধু স্বেচ্ছাসেবক নন। এ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক, নার্স সহ সকলকেও অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করতে হবে। সেই সাথে সকলের পরিবারের একজনের স্বাক্ষর দিতে হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই তাদের অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছে। বাংলানিউজ