নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের কোকদণ্ডী গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
তবে আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণকারী শেলী শীলের (৩০) পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ করা হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শেলী শীলের ভাই ও পরিবারের লোকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ এনে বাঁশখালী থানা ও রামদাশ হাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রকে জানিয়ে কোকদণ্ডীতে দাহ করার জন্য নিয়ে যান।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার রবীন্দ্র শীলের মেয়ে শেলী শীলের সাথে বিগত এক যুগ আগে বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের কোকদণ্ডী গ্রামের দুবাই প্রবাসী অজিত শীলের সাথে বিয়ে হয়।
দীর্ঘদিন কোনো ছেলে সন্তান না হওয়ায় শেলী শীলকে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে শেলী শীলের ভাই শেখর শীল জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে ছোট। বিগত তিন বছর আগে অজিত শীল গোপনে আরেকটি বিয়ে করার পর থেকে অজিতের বড় ভাই সুজিত, রনজিত ও তাদের স্ত্রীরা মিলে আমার বোনকে নির্যাতন করতো। গত তিনদিন আগে এ ধরনের এক ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে সালিশী বিচার ও বাজার করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। শনিবার গভীর রাতে অজিতের বড় ভাই টেলিফোন করে জানান আমাদের বোন শেলী গায়ে আগুন দিয়েছে। গভীর রাতে আমরা আসার আগে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন শেলীকে প্রথমে গুনাগরীস্থ আধুনিক হাসপাতালে পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকালে সেখানে শেলীর মৃত্যু হলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ফেলে চলে আসে।’
এদিকে শেলী শীলের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লাশ সহ রবিবার বিকালে প্রথমে বাঁশখালী থানায় পরে রামদাশ হাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রকে জানিয়ে কোকদণ্ডীতে দাহ করার জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. আ ন ম শাহাদত আলম বলেন, ‘তাদের পারিবারিক সমস্য নিয়ে বিগত দিনে স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দিয়েছিলাম। শনিবার রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বলেছিলাম, সকালে খবর পেলাম শেলী শীল মারা গেছে।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শেলী শীলের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।’ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আজাদী