কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : রোহিঙ্গা সংকটের কারণে উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে স্থানীয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এই অচল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে স্থানীরাও। স্কুল আর বাড়ির মধ্যে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দুরত্ব থাকলেও অভিভাবকরা নিশ্চিতভাবে সন্তাকে স্কুলে পাঠাতেন। তবে বিগত কয়েক মাসে পাল্টে গেছে এই অঞ্চলের চিত্র। রাস্তাঘাট, বন-পাহাড় আর আশেপাশের সব জায়গা দখল করে দোকানপাট এবং বসতি গড়ে তুলছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ফলে সেই প্রভাব পড়ছে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির ওপরে। বেশিরভাগ স্কুল প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার এবং সংগঠনের ক্যাম্প। শিক্ষকেরা বলেন, স্কুল প্রাঙ্গনে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং সংগঠন গড়ে ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। উপস্থিতিরি হার এতই কম যে ৩ থেকে ৭ জনের মতো শিক্ষার্থী স্কুলে আসে। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই সকল স্কুল কলেজের প্রাঙ্গন থেকে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং সংগঠনগুলো উঠিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে এসএসসি পরীক্ষা। তাই ডিসেম্বর মাসে চলছে অতিরিক্ত ক্লাস। কিন্তু শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম। সামনে নতুন বছরে নতুন উদ্যোমে সকল ক্লাসের সকল পাঠ্য কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার যে স্থবিরতা তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন টেকনাফ এবং উখিয়াবাসী।