Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ৪৭০ কিমি ডাবল লাইন, ব্রডগেজ নির্মাণের সমীক্ষা শেষ

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ৪৭০ কিমি ডাবল লাইন, ব্রডগেজ নির্মাণের সমীক্ষা শেষ

নিউজ ডেক্স : মিটারগেজ যুগের অবসান ঘটিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৪৭০ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়। এরইমধ্যে এর সমীক্ষাও রয়েছে শেষ পর্যায়ে।

এমতাবস্থায় রেল লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। রেলওয়ের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে পূর্বাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। দেশে ট্রেন পরিচালনার শুরু থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ট্রেন চললেও পূর্বাঞ্চলে শুধুমাত্র ব্রড ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন না থাকায় ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনা সম্ভব হয়নি। কেবল মিটারগেজ ট্রেনই চলছিল।

বর্তমান সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে উভয় অঞ্চলে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনায় পুরো পূর্বাঞ্চল রেলে ব্রডগেজ ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন স্থাপনের মহাপরিকল্পনা নেয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ, ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের পুরোদমে কাজ চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে বাকি অংশও ব্রডগেজ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে।

পূর্বাঞ্চলে রেলে ব্রড গেজ লাইন স্থাপন হলে পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গেও ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী।

তিনি জানান, ঢাকা পর্যন্ত ব্রড গেজ লাইন থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো রুট মিটার গেজে রয়ে গেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৪৭০ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণের সমীক্ষা প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুতই মূল কাজ শুরু হবে। মিটারগেজ লাইন পুরোপুরি ভেঙে না ফেলে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তরের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এদিকে আখাউড়া-সিলেট ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।

সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল স্থাপনের সমীক্ষা কাজ শেষে এখন বিনিয়োগ প্রকল্পের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আলোচনা চলছে। অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই মূল প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা যাবে। -আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!