ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আদালত স্থানান্তর : খালেদার রিটের শুনানি হবে নিয়মিত বেঞ্চে

আদালত স্থানান্তর : খালেদার রিটের শুনানি হবে নিয়মিত বেঞ্চে

1559070235K

নিউজ ডেক্স : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরান ঢাকার কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটটি নিয়মিত বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

এর আগে গতকাল সোমবার শুনানিতে সাপ্লিমেন্টারি নথিপত্র এফিডেভিট আকারে দাখিলের জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় প্রার্থনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপরে আদালত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদেরকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মীর হেলাল উদ্দিন।

শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সাপ্লিমেন্টারি নথিপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু এসব নথিপত্র এভিডেভিড করা ছিল না। তখন এসব নথিপত্র এভিডেভিড করার জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় চাওয়া হলে আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

উল্লেখ্য, নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে গত ১২ মে জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। একইসঙ্গে রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। রুলের নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত জারি করা ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

এর আগে আদালত স্থানান্তরে জারি করা গেজেট বাতিল চেয়ে গত ২১ মে আইন সচিবকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। সে নোটিশে গত ১২ মে জারি করা গেজেট বাতিলে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে গত ১২ মে জারি করা এ-সংক্রান্ত গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ২৬ মে রিট আবেদন করা হয়।

ওইদিন সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ উদ্বৃত করে কায়সার কামাল বলেছিলেন, ‘এ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যে কোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!