নিউজ ডেক্স : নগরের ডবলমুরিং থানার পশ্চিম মাদারবাড়ির ডিআইটি রোড পানির ট্যাংকি মামুন অটো সার্ভিসের সামনে থেকে সাইকেল চুরিতে সেঞ্চুরি করা ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও কিশোরের সহযোগী মো. বিশাল (১৯) ও তাহেরা বেগমকেও (৫০) গ্রেফতার করা হয়।
চুরি হওয়া দুইটি বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। বাংলানিউজ
কিশোরের বয়স ১৪ বছর। সে চট্টগ্রামের সাইকেল চোরের মূল হোতা। যেহেতু সাইকেল চুরির ঘটনায় অধিকাংশ ভুক্তভোগী মামলা করেন না তাই তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে রয়েছে মাত্র ৩টি। সাইকেল চুরির অপরাধে কারাগারে গিয়েছিল সে। পুলিশকে কিশোরের মামা জানিয়েছেন বয়স কম বিধায় পুলিশ ধরলেও বেশি দিন কারাগারে থাকতে হয় না। তাই সে চুরিতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার কিশোর পেশাদার চোর। সে শুধু বাইসাইকেল চুরি করে। বয়স কম হওয়ায় কেউ তাকে সন্দেহ করে না। তাই হুট করেই যেকোনো ভবনে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে সাইকেলের তালা কাটা শেখে। এরপর বিভিন্ন ভবনে ঢুকে চুরি করা শুরু করে। এখন তার তালা ভেঙে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বাইসাইকেল নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। এ বয়সেই সে শতাধিক সাইকেল চুরি করেছে। সে আগেও একবার গ্রেফতার হয়। তার মামা শিশিরের বিরুদ্ধেও একটি মামলা রয়েছে। মূলত কিশোর সাইকেল চুরি করে আনে আর মামা শিশির সেগুলো বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিআইটি রোড পানির ট্যাংকি মামুন অটো সার্ভিসের সামনে থেকে কিশোর ও বিশালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাহেরা বেগমকে। তবে এসময় পালিয়ে যায় তার মামা শিশির। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ টি সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।