এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা সদরের পুরান থানা রোডস্থ টেন্ডইল্যা মসজিদ সংলগ্ন জামাল কলোনী থেকে গত ১৬ এপ্রিল যুবতী বিকৃত লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় একইদিন তার ভাই মোহাম্মদ হোসাইন (৩৪) বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নং- ২১, তারিখ ১৬/০৪/২০১৮ ইং।
নিহত যুবতীকে আজ ১৭ এপ্রিল ময়নাতদন্ত শেষে বড়হাতিয়ার চাকফিরানী আশ্রয়ন প্রকল্পের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মামলায় পুটিবিলা পশ্চিম তাঁতী পাড়ার মোঃ ফয়েজ উল্লাহর পুত্র আমির হোসেন ওরফে আমির (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, প্রায় ৬ বছর পূর্বে নিহত রেহেনা আক্তারের সাথে চন্দনাইশ উপজেলার জনৈক টিপু মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে রয়েছে এক পুত্র সন্তান। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। দেড় বছর পূর্বে অভিযুক্ত আসামী আমির হোসেনের সাথে রেহেনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রেহেনাকে বিদেশ পাঠায় আমির হোসেন। বিদেশ থাকা অবস্থায় উপার্জিত সকল টাকা-পয়সা আমির হোসেনের নিকট পাঠায়। গত সনের নভেম্বর মাসে রেহেনা আক্তার বাংলাদেশে ফিরে আসে। পরে রেহেনা আক্তার ও আমির হোসেন ভাড়া বাসায় দিনাতিপাত করছিল বলে উল্লেখ করা হয়। রেহেনা আক্তারের বড় বোন রুবি আক্তার (৩৪) এর নিকট ইসলামী শরিয়ত মতে তাদের বিয়ে হয় বলে জানায়। অবশেষে নতুন ভাড়া বাসায় লোহাগাড়া উপজেলা সদরের জামাল কলোনী হতে গত ১৬ এপ্রিল রেহেনা আক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বাসায় মামলার আসামী আমির হোসেন অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে নিয়ে রেহেনা আক্তার খুন করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল আমির হোসেন বিদেশ চলে গেছে ও পুটিবিলায় তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।