নিউজ ডেক্স : সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবের বিশিষ্ট তিন সুন্নি আলেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। পবিত্র রমজান মাসের পর শিগগিরই এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে দেশটি। সরকারি দুটি সূত্র ও আটক এক আলেমের পরিবারের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
এ তিনজন আলেম হলেন শায়েখ সালমান আল-আওদাহ, লেখক আওয়াদ আল-কারনি এবং প্রচারক আলী আল-ওমারি। এদের মধ্যে শায়েখ সালমান আল-আওদাহ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তিনি শরিয়া এবং সমান নীতির বিষয়ে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত একজন পণ্ডিত।
২০১৭ সালে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে একটি টুইট করেন শায়েখ সালমান আল-আওদাহ। সে সময় তিনি একটি রিপোর্ট টুইটারে শেয়ার করে তার পক্ষে কথা বলেন। রিপোর্টটি ছিল-কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটে যেতে পারে এ সংক্রান্ত। এরপর এ ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের আওয়াদ আল-কারনি এবং জনপ্রিয় প্রচারক আলী আল-ওমারিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত।
সৌদির দুটি সরকারি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, রিয়াদের ক্রিমিনাল বিশেষ আদালতে এই তিনজনের বিচার হচ্ছে। ১ মে আদালতে শুনানির কথা ছিল। কিন্তু সেটি স্থগিত করা হয়।
আরেকটি সূত্র জানায়, রমজানের পর রিয়াদের অন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পরে এই আলেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অপেক্ষা করবে না সৌদি সরকার।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশিষ্ট এ তিন আলেম জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই রমজানের পরেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় সরকার।
শায়েখ সালমান আল-আওদাহর ছেলে আব্দুল্লাহ আল-আওদাহ যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। গত ফেব্রুয়ারি তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রবন্ধ লিখেন। যার শিরোনাম- ‘মৃত্যুদণ্ডের সামনে আমার পিতা; সৌদিতে এটাই ইনসাফ’।
আব্দুল্লাহ আল-আওদাহ বলেন, ‘যে কণ্ঠ ইনসাফের ভিত্তিতে হক ও সত্য কথা বলে সৌদি সরকার সে কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দেয়।’
তিনি আরো লেখেন, ‘তার বাবাকে আটক করার অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, সরকারপক্ষ যেভাবে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে-তিনি সবসময় এর সমালোচনা করতেন। জনগণকে সত্যের পক্ষ অবলম্বনে উদ্বুদ্ধ করতেন।’