– মামুন আব্দুল্লাহ
ছেলেটি নাকি অনেক বড় শিক্ষিত
চাকরীও করে জানি দামী,
ক’দিন আগেই তার বিয়ে হলো
কনে তার অপরূপ সুন্দরী।
বাবাহীন কনের মা ছিল বড় অভাবী
সহায় সম্বল ছিল না তেমন কিছু,
ছিল একটি গরু আর বাছুর
আর একটি টিনসেট বাড়ী শুধু।
শুনেছিলেম ছেলেটি তেমন কিছু চায় নি
চেয়েছিল শুধু কলেজে পড়ুয়া সুন্দরী পাত্রী
সব কিছু ঠিকটাক
দামী রেস্টুরেন্টে হলো আক্দ কাবিন নামা
এরপর শুরু হলো ইনিয়েবিনিয়ে যৌতুক চাওয়া!
খুব বেশী নয় হাজার খানেক বরযাত্রী
তার আত্নীয় স্বজন নাকী অনেক ভারি,
ক্লাব টাও যেন হয় নামীদামী
না হলে হবে তার সম্মানহানি।
কানে নাকে স্বর্ণকার দিতে হবে কয়েক ভরি!
কিছুদিন আগে তার বন্ধু’র হয়েছে শাদী
শশুর বাড়ী থেকে দিয়েছে নতুন গাড়ী
স্বজনদের জন্য দিয়েছে কাপড় শাড়ী।
নতুন আসবাবে সাজিয়ে দিতে হবে
তার সদ্য করা বাড়ী।
ফ্রিজ টিভি থেকে লবণ দানী
দিতে হবে সব বস্তা ভরী।
বলে,,,,
এসব এখন সবাই দেয়
এসব এখন রীতি!
এসব শুনে মেয়েটির মা ছেড়ে দিল চোখের পানি।
আফসোস করে বলে
মেয়ে কে বুকে টেনে
তোর বাবা আমাদের ছেড়স গেল কেন তাড়াতাড়ি?
কি করবো এখন, কার পায়ে পড়ি।
এখন যদি বিয়ে ভেঙ্গে যায়
কিভাবে দেখাবো সমাজে মুখখানি।
তাইতো সে বিক্রি করে দিল
গরু বাছুর আর অনেক সখের বাড়ী।
বিয়ে হলো ধুমধামে,,,,
মা- আর ভাই টি অজানা পথে দিল পাড়ি
এসব খবর আমরা ক’জনে রাখি।
( উৎসর্গ : লোহাগাড়া উপজেলা সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরাম কে)