নিউজ ডেক্স : সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার দুই বছর শেষ হতে চললেও চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ মামলার কোনো কূল কিনারাও করতে পারেনি।
সোমবার (৪ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামানের কাছে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। মো. কামরুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলছে এখনো।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।
গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।
মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে দায়ী করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের সাপেক্ষে বেশ কিছু ক্লু দেন বলে জানান মোশারফ হোসেন।
২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাবুল আক্তারকে।
মোশারফ হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কী করছেন জানিনা। কখন তদন্ত শেষ হবে তাও জানিনা আমরা।
মোশারফ হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত এক বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। মামলা থেকে যদি বাবুল আক্তারকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে আমরা আইনী লড়াই চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে কথা বলতে সোমবার বাবুল আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
সূত্র : বাংলানিউজ