এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়া-নওঘাটা সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এটি পদুয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে পার্বত্য বান্দরবান জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। রাস্তাটির করুণ দশায় জনগণ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এলাকাবাসীরা রাস্তাটি সংস্কার করে দূর্ভোগ লাঘবের জন্য বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময়ে তদবীর করেছেন। লেখালেখি হয়েছে। কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হচ্ছেনা। লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছেন। তবে তহবিল স্বল্পতার কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভূক্তভোগীদের সাথে আলাপ করে জানতে পারেন রাস্তাটি ধ্বংস হওয়ার একমাত্র কারণ ভারী ট্রাক চলাচল। তারা অভিযোগ করেছেন বিধান অমান্য করে নওঘাটা এলাকায় অবস্থিত ইটভাটা ও সন্নিহিত পাহাড় থেকে চোরাই কাট পাচারই রাস্তা ধ্বংসের অন্যতম কারণ। প্রতিদিন এলাকার হাজার হাজার কৃষক তাদের হাঙ্গরচরে ফলানো ফসলাদী পদুয়া বাজারসহ বিভিন্নস্থানে বিপনন করেন। পদুয়া হাই স্কুল, এসআই চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ, পদুয়া মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী এ রাস্তা অতিক্রম করে। ভারী ট্রাকের চাপে শুধু রাস্তা ধ্বংস হচ্ছে তা নয়, উড়ন্ত ধুলোবালিতে একাকার হয়ে যায় এলাকাটি। দেখতে পান দুপুর ১২টায় কুয়াশার মতো পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীরা নাকে কাপড় দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করে। রাস্তার দু’পাশে বিধান অমান্য করে ইটভাটার মাটির স্তুপ রয়েছে। সন্নিহিত চাষের জমি থেকে এসব মাটি কাঁচামাল হিসেবে আহরণ করা হয়।
পদুয়া ধলিবিলা এলাকায় সম্প্রতি কৃষি জমি ধ্বংস করে প্রভাবশালীরা ইটভাটা নির্মাণের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি কয়েকটি মাটি কাটার যন্ত্র আটক করেছেন বলে প্রকাশ। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকায় দিনে রাতে ট্রাক চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কাট পাচার অব্যাহত রেখেছে। এমন অভিযোগ এন্তার। অনতিবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার ও ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে জনদূর্ভোগ নিরসনের জন্য ভূক্তভোগীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।