নিউজ ডেক্স : দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। গত দুদিন ধরে এই নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। যারা নদীর পানি ব্যবহার করছে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে চুলকানির সাথে ফোসকা উঠছে। হালদা পাড়ের মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে গতকাল বুধবার হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা। তিনি হালদা নদীতে জাল ফেলে মাছ মারাসহ বিভিন্ন অপরাধে এদিন আট ব্যক্তিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।
জানা যায়, ভাটার সময় নদীর কিনারায় ভেসে উঠা মরা,আধা মরা মাছ ধরে গত দুদিন যাবত এলাকার মানুষ হাটবাজারে বিক্রি করছে। নদীর তীরবর্তী গ্রাম মোকামী পাড়ার বশর মাঝি বলেছেন– তার এলাকার মফিজ উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে নদী থেকে ভেসে উঠা দুই বস্তা মরা, আধ মরা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেছে। এসব মাছের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল বিভিন্ন আকারের চিংড়ি। পাওয়া গেছে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই–কাতলা। উরকিরচর গ্রামের মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন তার গ্রামের অনেকেই ভেসে উঠা মাছ ধরেছে। হালদার পানিতে গোসল করে তার গায়ে চুলকানির সাথে ফোসকা উঠেছে। এঅবস্থা হয়েছে গ্রামের আরো অনেকের। হাটহাজারীর গড়দুয়ারা গ্রামের মৎস্যজীবী কামাল সওদাগর জানান, তার এলাকার অনেকেই নদী থেকে মরা–আধ মরা মাছ ধরে হাটবাজারে বিক্রি করেছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, কতিপয় লোভী মৎস্যজীবী খালে বিষ প্রয়োগ করেছে। হালদা গবেষক প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেছেন– এমনিতেই প্রতিনিয়ত নদীতে বিভিন্ন শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য পড়ছে। এরমধ্যে এক সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে মুরগির খামারের বিষাক্ত বর্জ্য, শিল্প বর্জ্যসহ নানা পচাগলা পদার্থ পানি দুষণ করেছে।
সূত্র : দৈনিক আজাদী