নিউজ ডেক্স : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলেও চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি বেঁচে থাকবেন হাজার বছর। কারণ তিনি তৃণমূল থেকে নগরপিতা হয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায়ও মাতিয়ে গেছেন দেশ এবং মাতৃকার মানুষকে। সজ্জন, সদালাপী ব্যক্তি মহিউদ্দিন ছিলেন সব দলমতের মানুষের কাছে সমান প্রিয়। আর চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ছিলেন আশা আকাঙক্ষার মূর্ত প্রতীক।
তিনি গতকাল শুক্রবার নগরীর কোতোয়ালী থানার ফিশারীঘাটস্থ মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং স্থানীয় এলাকাবাসী এ শোকসভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্যজীবী নেতা হাজী আব্দুর সত্তার। মোহাম্মদ মহসীনের সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন–সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আহ্বায়ক মো. শামসুল আলম, সচিব জানে আলম, মৎস্যজীবী স্বরূপ বিকাশ বিধান বড়ুয়া, মো. সালাউদ্দিন, ইব্রাহিম ভদ, দিদারুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে সালেহীন চৌধুরীসহ নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নগরীর ফিশারীঘাট মাছ বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা উলেহ্মখ করে মহিউদ্দিন পুত্র নওফেল বলেন, সরকারি অনেক জায়গা দখল করে ব্যবসা চলছে। ফিশারীঘাটের বিষয়টি বিচারাধীন। যেহেতু সেটি এখন শুনানির পর্যায়ে আছে প্রশাসন চাইলে ধৈর্য ধরতে পারে। কিন্তু তা না করে তারা গরীব মৎস্যজীবীদের উচ্ছেদে উঠে পড়ে লেগেছে। এতিমখানায় মাছ বিতরণের নামে জেলে সম্প্রদায়ের মাছ ছিনতাই করছে। তিনি বলেন, মাছ খেতে চাইলে নাম ঠিকানা দিয়ে যাবেন, প্রতিষ্ঠানে বাসস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তবুও উচ্ছেদের নামে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের পেটে লাথি মারবেন না। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সকল শ্রেণী পেশার জনসাধারণের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন আমার পিতা। তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে চট্টলা বাসীর অধিকার আদায়ে আমিও লড়ে যাবো।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের যোদ্ধা এবং সংগঠক। মাটি ও মানুষের ভাষা রপ্ত করা, রসবোধ আর প্রখর মানবিক মূল্যবোধ, তেজ ও নাটকীয়তায় ভরা বক্তব্য বৈঠক ও জনসভায় মানুষ মুগ্ধ হতেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আজীবন রাজনীতির মাঠে আলো ছড়ানো তারকা। মাটি আর মানুষের কাছে থেকে রাজনীতি করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং আস্থার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বর্ণিল রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় উঠেছিলেন রাজনীতির বরপুত্র এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিংহ পুরুষ। নিজস্ব ভাষা, ভঙ্গি আর স্বভাবসুলভ উচ্চারণে তিনি ছিলেন আর দশজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চেয়ে আলাদা।
শোকসভার শুরুতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।