কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়ার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে আরও সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে মিয়ানমার। আজ ৩ মার্চ শনিবার নতুন করে তিন পিকআপ ভ্যান সেনা সেখানে যুক্ত হয়েছে। ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্টে বিজিপি ও সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন করে জনবলশক্তি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিও। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের দলনেতা নূর হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপি কয়েক দফায় মাইকিং করেছে রোহিঙ্গাদের নো ম্যান্সল্যান্ডের কোনারপাড়া আশ্রয় ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও মদের খালি বোতল ছুড়ে মেরেছে বিজিপি সদস্যরা। বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমারে নিরাপত্তার প্রয়োজনে সীমান্তের ওপারে সেনা-বিজিপি সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তবে সীমান্তে টহল সেনা-বিজিপির নিয়মিত প্রশিক্ষণের একটি অংশ বলে দাবি করেছে নেপিদো। সীমান্ত সুরক্ষায় সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির জনবলশক্তি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও সরওয়ার কামাল জানান, ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপি ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্তের এপারে বিজিবি কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে। সীমান্তের দু’পাশেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কারণে তুমব্রুতে অনেকটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানান ইউএনও সরওয়ার কামাল। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনাক খালের ওপারে জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা। আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখাতে এবং মিয়ানমারের ফেরার পথ অবরুদ্ধ করতে গত বুধবার থেকে সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ১৩ পিকআপ ভ্যান সেনা-বিজিপি সদস্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। সেনারা পিকআপ এবং মোটরসাইকেল করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে।
