
নিউজ ডেক্স : সীতাকুণ্ড থানার পূর্ব সৈয়দপুর এলাকায় বাড়ির সীমানার বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন দুইজন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল। বাংলানিউজ
আটককৃতরা হলেন- পূর্ব সৈয়দপুর এলাকার জামাল উল্লাহর ছেলে কামরুল হাসান ফরহাদ (২৪) ও আজম খানের ছেলে মো. আরাফাত (২১)।
নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, আটক কামরুল হাসান ফরহাদ আমাদের কাছে অভিযোগ করেন সীতাকুণ্ড থানার পূর্ব সৈয়দপুর দুলাল মেম্বারের বাড়ির মো. আবুল কালামের বসতঘরের পেছনে কাঠের লাকড়ির স্তূপের মধ্যে মো. আরিফ মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় অভিযান অভিযান পরিচালনা করে কামরুল হাসান ফরহাদ এবং মো. আরাফাতদের দেখানো মতে ঘটনার স্থান থেকে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সদৃশ বস্তু, এক রাউন্ড গুলি, ৫টি রামদা, একটি কুড়াল, একটি লোহার রড ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, কামরুল হাসান ফরহাদ এবং মো. আরাফাতকে উদ্ধারকৃতের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রথমে উদ্ধারকৃত আলামত মো. আরিফের বলে জানায়। কামরুল হাসান ফরহাদ এবং মো. আরাফাতের সংবাদ সরবরাহসহ তাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিতি এবং আলামত সংরক্ষণের পজিশন সংক্রান্তে সংবাদ প্রদানকারীর প্রতি যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ জানায়, প্রতিবেশী আরিফদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে তাদের উভয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় মাধ্যমে সংঘর্ষটি আপস মীমাংসা করা হলেও বিরোধীয় বিষয়ে আরিফদের প্রতি কামরুলের ক্ষোভ থেকে যায়। ক্ষোভের জের ধরে আরিফকে অস্ত্র মামলায় ফাসানোর উদ্দেশ্যে আটক কামরুল হাসান ফরহাদ অস্ত্র দিয়ে মো. আরাফাতের সহযোগিতায় একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে করে আরিফদের বসতঘরের পেছনে লাকড়ির স্তূপের ভেতরে রাখে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।