ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ৫ পরিবার লকডাউন

সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ৫ পরিবার লকডাউন

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় ৩টি বাড়ির ৫ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ছোট হাতিয়া এলাকায় এসব পরিবারকে লকডাউন করা হয়।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ ওসমানী, সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সফিউল কবীর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গিয়ে পরিবারগুলোকে লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছোট হাতিয়া আছারতলির ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির এক লোকের নারায়াণগঞ্জে গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। গত সোমবার ঢাকায় ওই ব্যবসায়ীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি এখন কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২০ মার্চ পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তিনি সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন রাতে তিনি আবার নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। এছাড়া সরকার কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর তার কারখানায় কর্মরত ৩ জন শ্রমিক সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ার ছোট হাতিয়া আছারতলির গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

এদিকে, ঢাকায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ওই ব্যবসায়ীর সাথে সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ার গ্রামের বাড়ির ২টি পরিবারের সদস্য ও কারখানা থেকে চলে আসা ৩ শ্রমিকের সাথে সংস্পর্শ ছিল। ফলে এসব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এবং তাদের মাধ্যমে এলাকায় আরো লোকজনের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পরিবারগুলোকে লকডাউন করা হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ ওসমানী জানান, ঢাকায় করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যবসায়ীর সাথে তার গ্রামের বাড়ির যেসব লোকের সংস্পর্শ হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ৫টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।

তারা আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন লকডাউনে থাকবেন। এসব পরিবারের সবাই এখনো সুস্থ রয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম বলেন, ‘গত সোমবার ঢাকায় কনোরাভাইরাস শনাক্ত হওয়া লোকদের মধ্যে একজন সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ার ছোট হাতিয়া আছারতলির ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা করেন। সেখানে তার গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। শুনেছি ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হওয়া ওই ব্যবসায়ী গত ২০ মার্চ এলাকায় এসেছিলেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে তার কারখানায় কর্মরত ৩ শ্রমিকও এখন গ্রামে চলে এসেছেন। ফলে তার সংস্পর্শে থাকা লোকজনকে চিহ্নিত করে ৫টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদেরকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর এলাকার অন্যান্য লোকজনকেও তাদের বাড়িতে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। লকডাউন করা প্রত্যেক বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন, সেখানেও চট্টগ্রামের একজন শনাক্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!