ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় মারাত্মক ফল বিপর্যয়

লোহাগাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় মারাত্মক ফল বিপর্যয়

Untitled-22

এলনিউজ২৪ডটকম : সারাদেশের ন্যায় গত ১৭ জুলাই বুধবার লোহাগাড়াও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে লোহাগাড়ার কলেজগুলোতে মারাত্মক ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন। লোহাগাড়ায় ৪টি কলেজ ও ২টি টেকনিক্যাল কলেজ রয়েছে। পাশের হার ৩৯ ভাগ।

কলেজগুলো হল চুনতি সরকারি মহিলা কলেজ, বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মোস্তফা বেগম গার্লস কলেজ। এরমধ্যে শুধুমাত্র চুনতি সরকারি মহিলা কলেজে ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে অধিকাংশদের গ্রেড সন্তোষজনক নয় বলে জানা গেছে।

চুনতি সরকারি মহিলা কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মোট পরীক্ষার্থী ২৮২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১২৪ জন। পাশের হার ৪৪ ভাগ।

বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৪৭১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫১ জন। পাশের হার ৩২.০৬ ভাগ।

আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২৯৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৯ জন। পাশের হার ৩৩.৬৮ ভাগ। এ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে নিয়মিত ১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ২ জন। উক্ত কলেজে অনিয়মিত আরো ৪ জন বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়।

মোস্তফা বেগম গার্লস কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ জন। পাশের হার ২১.৪২ ভাগ।

আইয়ুব ফাউন্ডেশন টেনিক্যাল কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৪৮ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ জন। পাশের হার ৪১.৬৭ ভাগ। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১ জন।

মোস্তফা বেগম টেকনিক্যাল কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৫৬ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৫০ জন। পাশের হার ৯০ ভাগ। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫ জন।

চুনতি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবু নঈম আজাদ ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, এ কলেজে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকে। অসচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়া সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর রাখেন না। আবার অনেকে কলেজে পাঠদান অবস্থায় বিয়ের পিঁড়িতে বসে। ফলে লেখাপড়ার মানের প্রতি উদাসীন থাকে। মানসম্পন্ন পাঠদানে শিক্ষকরা আন্তরিক বলে দাবী করছেন তিনি।

বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফয়েজুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য অন্ততঃ একশজনের অধিক শিক্ষার্থীকে চাপের মুখে ফরম পূরণ করাতে হয়েছে। এতে ফল বিপর্যয়ের একটি কারণ বলে ধারণা করছেন তিনি। এছাড়াও পাঠদানে শিক্ষকদের অবহেলাও অনেকটা দায়ী বলে জানান তিনি।

আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম. ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, কলেজে মানসম্মত পাঠদানে যথাযথ ভূমিকা শিক্ষকরা রাখতে পারেননি। এছাড়াও শিক্ষকদের উদাসীনতা ও অবহেলা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!