ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | মোছলেম-সুফিয়ান দুই প্রার্থীর কোলাকুলি

মোছলেম-সুফিয়ান দুই প্রার্থীর কোলাকুলি

Image-2546123697

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও- বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকালেই। ভোট দিতে ভোটররা ক্রেন্দ্রে ছুটে আসছেন। প্রার্থীরা ও ব্যস্ত কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শনে।

তবে ভোটের মাঠেই আসল আসল ‘যুদ্ধ’। তাইতো ভোটের আগে ভোটকেন্দ্রে দু’জন দু’জনকে বেঁধে নিয়েছেন মৈত্রীর আলিঙ্গণে। মুখে ছিল দরাজ হাসি।

এমন দৃশ্যই দেখা গেল চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের শুরুতে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুই প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও বিএনপির আবু সুফিয়ান এসেছিলেন এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে।

সেখানেই দেখা হয়ে যায় দু’জনের। কুশল বিনিময়ের পর দুই প্রার্থী কোলাকুলি করেন। এসময় দলীয় নেতা-কমীরা তাদের সঙ্গে ছিলেন। -পূর্বকোণ

মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন প্রার্থী। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক এ আসনের জন্য লড়ছেন।

প্রার্থী ছয় জন হলেও বরাবরের মত আওয়ামী ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশে পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও কাজ করবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে ১৪টি মোবাইল ফোর্স, ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৬ প্ল্যাটুন এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া ২ জন জুডিশিয়াল ও ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে শহর অংশে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর সমসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট বোয়ালখালীতেও থাকবে ।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে মোট ১৭০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যের সমন্বয়ে ১৪টি মোবাইল ফোর্স, ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ‌র‌্যাবের ৬টি টহল দল এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিতে ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমও রয়েছে।

১৭০টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৯৬টি কক্ষে চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোটার ভোট প্রদান করবেন। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত রয়েছেন তিন হাজার ৭৫৮ জন কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!