ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বুলেট প্রুফ স্যালুন ক্রয় থেকে সরে এসেছে রেল

বুলেট প্রুফ স্যালুন ক্রয় থেকে সরে এসেছে রেল

নিউজ ডেক্স : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা ১৪৭টি মিটারগেজ কোচের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে নভেম্বরে। প্রথম পর্যায়ে ৩টি বুলেট প্রুফ ভিভিআইপি স্যালুন কোচসহ ১৫০টি কোচ আমদানির চুক্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত এমন ব্যয়বহুল ৩টি বুলেট প্রুফ স্যালুন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে এমন ব্যয়বহুল ভিভিআইপি কোচ আমদানি সমীচীন হবেনা বলে জানান রেল কর্তৃপক্ষ।

এই ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাসান মনসুর জানান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রথমে ১৫০ মিটারগেজ কোচ আমদানির কথা ছিল। এখন ১৪৭টি কেনা ক্রয় করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ৩টি বুলেট প্রুফ ভিভিআইপি স্যালুন কোচ আমদানি থেকে সরে এসেছি। এই মুহূর্তে ভিভিআইপি স্যালুন কোচ আমদানি ঠিক হবে না বলে আমরা মনে করছি। আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কোচ নিয়ে প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। প্রথম ধাপে ৩০-৪০টার মতো কোচ আসবে। এরপর ধাপে ধাপে সব কোচ আসবে।

এখন আমাদের কোচের সংকট রয়েছে। এগুলো তাড়াতাড়ি আসলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের ৭৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নে এই কোচগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের সাথে ৭৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার জানান, আমাদের নতুন আরো ১৪৭টি মিটারগেজ কোচ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসলে নতুন এসব কোচ দিয়ে কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালানো হবে। একই সাথে অন্যান্য রুটেও নতুন ট্রেন চালু হবে। চলতি অর্থ বছরে এবং আগামী অর্থবছরে মিলে মোট ১৪৭টি কোচ আসবে। করোনার কারণে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করতে না পারায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নতুন ১৪৭ মিটারগেজ কোচ আসতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুংশিন আরএসটি-পসকো ইন্টারন্যাশনালের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজের চুক্তিমূল্য ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ০৬৩ দশমিক ৯০ টাকা। প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এঙ্মি ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচগুলোর সরবরাহের কথা ছিল। আমনদানিকৃত যাত্রীবাহী কোচগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এগুলোর বডি স্টেইনলেস স্টিলের। থাকবে বায়ো-টয়লেট, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোরসহ আধুনিক সুবিধা। প্রত্যেক কোচে থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপিং বার্থ ৩০টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার মোট ৪৪টি, খাবার গাড়িসহ শোভন চেয়ার কোচ ১৬টি, পাওয়ার গাড়িসহ শোভন চেয়ারকোচ ১২টি, খাবার গাড়ি ১টি, পাওয়ার গাড়ি ১টি ও পরিদর্শন কার ১টি। বুলেটগ্রুফ গাড়ি থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাতিল করা হয়েছে। এ কোচগুলো রেলবহরে যুক্ত হলে বেশি পরিমাণে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবেন বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। -আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!