ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা, ১৯ বছর পর আসামির আত্মসমর্পণ

বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা, ১৯ বছর পর আসামির আত্মসমর্পণ

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী হত্যা মামলায় ১৯ বছর পলাতক থাকার পর আত্মসমর্পণ করেছেন এক আসামি।

আবুল কাশেম চৌধুরী (কাশেম চেয়ারম্যান) নামে ওই ব্যক্তি আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ নারগিস আক্তার তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দেন। আবুল কাশেম চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান।

ভারপ্রাপ্ত পিপি রিদওয়ানুল বারী জানান, ২০০৩ সালে ঘটনার পর থেকেই কাশেম পলাতক। তবে গত বছরের নভেম্বরে তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।

পিপি বলেন, “শুনানিতে আমরা বলেছি, এই আসামি জামাল উদ্দিন হত্যার হুকুমদাতা। তার নির্দেশে এক কোটি টাকার বিনিময়ে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামিরা এই কথাই জানিয়েছেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাট থেকে অপহৃত হন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। তখন এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। সেই সময়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা অপহরণের এই ঘটনায় ২২ জুলাই চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন জামাল উদ্দিনের ছেলে চৌধুরী ফরমান রেজা লিটন।

পরে কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ‌্যে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট ফটিকছড়ির দইজ্জ্যাখালি পাহাড় থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর সেটি জামাল উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

পুলিশের ৯ জন তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সাড়ে তিন বছর ধরে তদন্ত করেন।

সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আনোয়ারার সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম ও তার ছোট ভাই মারুফ নিজামসহ ২৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে এবং ফটিকছড়ির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, আনোয়ারার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শহীদ ও নাজিম উদ্দিনসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৬ সালে দেওয়া ওই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে মামলার বাদি নারাজি দেয়। অন্যদিকে, কালা মাহবুব নামে মামলার এক আসামিকে অভিযোগপত্রে সাক্ষী করায় আপত্তি জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন মারুফ নিজাম।

২০০৭ সালে করা ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয় ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর কিন্তু সেই আদেশের নথি চট্টগ্রামে পৌঁছাতে লাগে ছয় বছরের বেশি সময়।

আর ২০০৬ সালে বাদীর করা নারাজি আবেদন খারিজ হয় ২০১৭ সালে। ইতোমধ্যে দুই আসামির মৃত্যু হয়েছে; তাদের বাদ দিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। বাদী এখনও সাক্ষ্য দেননি। আসামিদের মধ্যে শুধু আলমগীর নামে একজন কারাগারে আছেন।

কাশেম বাদে অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলো শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান, মো. শফিকুল আলম ওরফে শফি, আব্দুল সোবহান ওরফে সোবহান ড্রাইভার, নাজিম উদ্দিন, সুলতান, মনসুর ওরফে বলি মনসুর, আলমগীর, শাহজাহান ওরফে ড্রাইভার শাহজাহান, ওসমান ওরফে টেংরা ওসমান, মাহবুব ওরফে লম্বা মাহবুব, রফিক, ইছহাক ও ইউনুছ ওরফে বাবু। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!