ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বান্দরবান পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বান্দরবান পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজ ডেক্স : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী সহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার(২৪ জানুয়ারি) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মহোতুল ইসলাম যত্ন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নারী নির্যাতন, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ২০২১ সালের ২৭ জুন মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন, মো. মিলনসহ সাতজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন রেহেনা আক্তার নামের এক নারী।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বান্দরবান জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক পৌরসভার মেয়ার ইসলাম বেবীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী রেহেনা বেগম বলেন, “আমাদের ভাইবোনদের জায়গায় আমাদের পিতা তার মৃত্যুর আগে আমাদেরকে যার যার অংশ ভাগ করে দিয়েছেন কিন্তু মেয়র ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে এবং জোরপূর্বক আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মেয়রের একান্ত সহকারী আশুতোষ দে বলেন, “রেহেনা আক্তার নামের এক নারী মামলা করেছিলেন। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে কিছু জানি না।”

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধে এটি মিথ্যা মামলা।পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিরা আমরা তিনজনের নামীয় বাজার ফান্ডের রেকর্ডীয় জমির দেয়াল ভেঙে জোরপূর্বক জায়গা দখলের সময় আমার ভাইসহ কয়েকজন বাধা দেন। আর কোনো ঝামেলা হয়নি। ঐ সময়ে আমি লামায় ছিলাম। বর্তমানেও আমি চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য রয়েছি। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি আমি জানি না।”

উল্লেখ্য, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভারত সহ দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বর্তমানেও তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!