Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাজেট ঘাটতির প্রভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়বে : আমীর খসরু

বাজেট ঘাটতির প্রভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়বে : আমীর খসরু

mehedi-hasan00004-1532115500097-1540187419255

নিউজ ডেক্স : ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় বাজেট ঘাটতির প্রভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের কাছে বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই ঘাটতির প্রভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়বে।

এবারের বাজেট দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাজেটের আকৃতি সবসময় বাড়ে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাজেট কখনই কমেনি।”

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট তো জনগণের। জনগণকে কোনো না কোনোভাবে এই ঘাটতি মেটাতে হবে। সেটা অতিরিক্ত গ্যাস বিল দিয়ে হোক বা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের মাধ্যমে হোক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন, যেভাবে জনগণ গত নির্বাচন গ্রহণ করেনি, তেমনি এই বাজেটও গ্রহণ করবে না।

আমীর খসরু বলেন, ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর কথা চিন্তা করেই প্রস্তাবিত বাজেট দেয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না। প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুন করে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে শাসন পরিচালনায় অনির্বাচিত সরকার- এমন দাবি করে বিএনপির নেতা বলেন, ‘এই অনির্বাচিত সরকারের বাজেট দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়।’

‘দেশের অর্থনীতি কিছুসংখ্যক মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। তারা বাজেট প্রণয়ন করছে। তারা অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার তারাই সরকার পরিচালনা করছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঋণনির্ভর বাজেট দিতে হচ্ছে। এখন যে এক মিলিয়নের বাজেট তিন মিলিয়ন দেয়া হচ্ছে এই টাকা আমার-আপনার পকেট থেকেই নেয়া হবে। করের মাধ্যমে, ভ্যাটের মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যমে এই টাকা সরকার মানুষের পকেট কেটে নেবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!