ব্রেকিং নিউজ
Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | বটতলী মোটর ষ্টেশনের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার দায়িত্ব কার ?

বটতলী মোটর ষ্টেশনের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার দায়িত্ব কার ?

34342305_1892408200822370_4479231812589060096_o

এলনিউজ২৪ডটকম : দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক কেন্দ্র লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন। এ ষ্টেশনের মহাসড়কের আশপাশ ও বিভিন্ন উপ-সড়কে জমে আছে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ। বটতলী মোটর ষ্টেশনের ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন এসব ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার দায়িত্ব কার ?

সরেজমিনে দেখা যায়, সুপার মার্কেট, কর্ণফুলী সিটি মার্কেট, এমদাদিয়া মার্কেট, মোস্তাফা মার্কেটের সামনে, কাঁচা বাজারের আশপাশ ও দরবেশ হাট রোড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ময়লার স্তুপ জমে আছে। রমজান মাসে ক্রেতা সাধারণ ও পথচারীরা নাক-মুখ চেপে হাঁটছেন। ময়লার বিশ্রী গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ময়লা-আর্বজনা পরিস্কার করতো। বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে মাসিক টাকা নিতো। এ টাকা দিয়েই ৯ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ১৫ জন নাইটগার্ড, ২ জন অফিস কর্মচারীর বেতন, অফিস ভাড়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করা হতো।

কিন্তু লোহাগাড়ায় নবাগত ইউএনও আবু আসলাম গত ৩ জুন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বটতলী শহর পরিচালনা কমিটিকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে নিষেধ করেন। ফলে শহর পরিচালনা কমিটি তাদের নিয়োগকৃত পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নাইটগার্ডদের প্রত্যাহার করে নেয়।

স্থানীয় হকার জুয়েল জানায়, দু’য়েক দিন পর পর এখন ১৫০/২০০ টাকা দিয়ে আমার সামনের ময়লাগুলো পরিস্কার করতে হয়, অথচ আগে মাসে দিতাম ১০০ টাকা। আগের সিস্টেমটাই ভালো ছিল।

সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহদত হোসেন জানান, শহর পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ। সিদ্ধান্তটা সঠিক নাকি ভুল তা ক’দিন পরেই বুঝা যাবে। পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নাউটগার্ড না থাকলে বটতলী শহর ময়লা-আর্বজনা ও নিরাপত্তাহীন শহরে পরিণত হবে।

বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির সদস্য মিজবাহ উদ্দিন রাজিব জানান, হঠাৎ করে কোন ধরনের কমিটি বা নতুন নির্বাচিত কমিটি গঠণ না করে বর্তমান শহর কমিটির চাঁদাসহ সম্পূর্ণ কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যার পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র কয়েক দিনে বটতলী শহরে সমস্ত ময়লা আর্বজনার স্তুপ জমে চারিদিকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রাতে কমিটির দারোয়ানও না থাকায় দোকানপাটগুলোতে যে কোন সময় চুরি-ডাকাতি হতে পারে। এই রমজানে প্রচুর বিচার শালিস হয় এবং ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো দেখার মত কেউ থাকলো না। আমি মনে করি এটা ভুল সিন্ধান্ত, তাই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন।”

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু আসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাজার কমিটি বিভিন্ন জায়গায় লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেঅভিযোগ করেছে। হয়তো তাই তিনি রাগ করে হয়তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ রেখেছেন।

বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করলে প্রশাসনের করণীয় কি জানতে চাইলে ইউএনও জানান, পৌরসভা না থাকায় প্রশাসনের উদ্দ্যেগে ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার সম্ভব নয়। তবে বাজার ইজারা গ্রহীতাদের নিয়ে বসে শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শহর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তাই এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!