ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | পূর্ব জেরুজালেমে হামলায় ঘটনায় গ্রেফতার ৪২

পূর্ব জেরুজালেমে হামলায় ঘটনায় গ্রেফতার ৪২

আন্তর্জাতিক ডেক্স : অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের উপকণ্ঠে সিনাগগের বাইরে হামলার ঘটনায় ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে হামলার এ ঘটনায় কিশোরসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হন।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি তাদের পক্ষ থেকে।

গত রাতের হামলাকারী ১৩ বছরের এক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি পুলিশ তাকে ‘সন্ত্রাসী’ চিহ্নিত করে এসব তথ্য জানালেও তার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।

হামলার ঘটনার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের সন্ত্রাস দমন ইউনিটের কর্মকর্তাদের জেরুজালেমে স্থায়ীভাবে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে। যেকোনো রকম পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে এসব কর্মকর্তারা কাজ করবেন।

ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে শুক্রবার রাতের হামলাটি আমাদের সম্মুখীন হওয়া সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। ইসরায়েলি উপাসকরা শহরের নেভ ইয়াকভ পাড়ার একটি সিনাগগে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তারা হলোকাস্ট মেমোরিয়াল ডে পালন করছিলেন।

স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ওই সন্ত্রাসী হামলা চালায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর হামলার শিকার এলাকা পরিদর্শন করেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো এ হামলার প্রশংসা করেছে। তাদের কোনো সদস্য এ ঘটনায় দায়ী নয় বলেও সংগঠনগুলোর দাবি। গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, হামলাটি জেনিনে দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। হামলায় তাদের দায় আছে কিনা, উল্লেখ করেননি তিনি। ইসলামিক জিহাদও ঘটনাটি নিয়ে প্রশংসা করেছে, কিন্তু দায় নেয়নি।

জার্মানিতে ‘নাৎসি উৎখাতের’ দাবি করে ৬ লাখ ইহুদি মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে স্মরণ করতে ইসরায়েলে হলোকাস্ট মেমোরিয়াল ডে পালিত হয়। শুক্রবার রাতের ঘটনাটি নিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি। তিনি লিখেছেন, ‘হলোকাস্ট মেমোরিয়াল ডে ও শবে বরাতের সময় উপাসনালয়ে আক্রমণ করা ভয়ঙ্কর। আমরা আমাদের ইসরায়েলি বন্ধুদের সাথে আছি। ’

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ঘটনাটি নিয়ে ‘সমর্থনের উপযুক্ত উপায়’ খুঁজতে সব চেষ্টা করা হবে বলেও বাইডেন জানিয়েছেন।

হামলার ঘটনার পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিজেদের সৈন্য বাড়িয়ে দিয়েছেন ইসরায়েল। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের রাস্তায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো এক সামরিক অভিযানে বয়স্ক নারীসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর পরদিন জেরুজালেমের উপকণ্ঠে এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল।

সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!