ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | চবিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু

চবিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু

cu-20190908132430

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৯-২০ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবারও থাকছে না দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চবির আইটি ভবনে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এ সময় বিভিন্ন ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর, প্রক্টরিয়াল বডি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও চেয়ারম্যান এবং ভর্তি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য বলেন, আমরা গত বছরের ন্যায় এবারও প্রত্যেক ইউনিটে ভর্তি প্রক্রিয়া ও আবেদন ফি সমান রেখেছি। গত বছরের ন্যায় সকল কার্যক্রম নিজস্ব অটোমেশনে সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে আজ থেকে শুরু হওয়া অনলাইনে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ করা যাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আর পরীক্ষার ফি জমা দেয়া যাবে ১ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ বছর প্রতি ইউনিট/উপ-ইউনিটে ভর্তি আবেদন ফি ৪৭৫ টাকা ও আবেদন প্রসেসিং ফি ৭৫ টাকাসহ সর্বমোট ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিট, ২৮ অক্টোবর ‘ডি’ ইউনিট, ২৯ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিট, ৩০ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিট এবং ৩১ অক্টোবর ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদন ফি বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অটোমেশন পদ্বতিতে মাত্র ৪ টি ইউনিট ও ২ টি উপ-ইউনিটের মাধ্যমে ৯ টি অনুষদের অধীনে ৪৮টি বিভাগ ও ৫টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ১৮৯টি সাধারণ ও ৭৩৭টি কোটাসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১৩টি বিভাগ ও ৩টি ইনস্টিটিউটে সাধারণ আসন ১ হাজার ৩৪৬টি এবং কোটায় ২০৮টি আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ৫৫৪টি আসন।

বিজ্ঞান অনুষদে ৫টি বিভাগ ও ১টি ইনস্টিটিউটে সাধারণ ৫৪৫টি আসন এবং কোটায় ৯৮টি সহ সর্বমোট ৬৪৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

অপরদিকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৬টি বিভাগে রয়েছে সাধারণ ৬৪০টি আসন এবং কোটায় ১১২টিসহ সর্বমোট ৭৫২টি আসন। সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে ৯টি বিভাগে সাধারণ ৮১৮টি এবং কোটায় ১৪৩টিসহ সর্বমোট ৯৬১টি আসন। আইন অনুষদে ১টি বিভাগে সাধারণ আসন ৩০টি এবং কোটায় ২২টি সহ সর্বমোট ১৩৭টি আসন। জীববিজ্ঞান অনুষদের ৯টি বিভাগে সাধারণ আসন ৪৮৫ টি এবং কোটায় ৯২টিসহ সর্বমোট ৫৭৭ টি আসন। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ২টি বিভাগে সাধারণ আসন ১২০ টি এবং কোটায় ২১টিসহ সর্বমোট ১৪১টি। শিক্ষা অনুষদের ১টি বিভাগে সাধারণ ৩০টি আসন এবং কোটায় ১৯টিসহ সর্বমোট ৪৬টি আসন। মেরিন সায়েন্স আ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে ২টি বিভাগ ও ১টি ইনস্টিটিউটে সাধারণ ৯০টি এবং কোটায় ২৫টিসহ সর্বমোট ১১৫টি আসন।

আবেদনের যোগ্যতা-
উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান/কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা ‘এ’ ইউনিটের মাধ্যমে বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত সব বিভাগ/ ইনস্টিটিউটে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

‘এ’ ইউনিটের অধীনে বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং সমুদ্রবিজ্ঞান ও মৎস্যবিদ্যা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুটি মিলিয়ে মোট জিপিএ-৭.৫ এবং একটিতে জিপিএ-৩.৫ নির্ধারণ করা হয়েছে৷

‘বি’ ইউনিট-
উচ্চ মাধ্যমিকের সব বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বি-ইউনিটের মাধ্যমে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত সব বিভাগ/ ইনস্টিটিউটে আবেদন করার সুযোগ পাবেন (নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগ ছাড়া)। এছাড়া বি-১ উপ-ইউনিটের মাধ্যমে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগে আবেদন করা যাবে।

‘বি-১’ উপ-ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ অধিভুক্ত চারুকলা ইনিস্টিউট, নাট্যকলা বিভাগ ও সঙ্গীত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্যও একই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন মোট জিপিএ-৭ এবং একটিতে জিপিএ-৩.২৫; মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের সর্বনিন্ম দুটিতে মোট জিপিএ-৬.৫ এবং একটিতে জিপিএ-২.৭৫; ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সর্বনিম্ন দুটিতে মোট জিপিএ-৭ এবং একটিতে জিপিএ-৩.২৫ থাকতে হবে।

‘সি’ ইউনিট
উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভোগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সি-ইউনিটের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবে।

‘সি’ ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে দুটিতে মোট জিপিএ-৭.৫ এবং একটিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে৷

‘ডি’ ইউনিট
উচ্চ মাধ্যমিকের (সকল গ্রুপ) শিক্ষার্থীরার ডি-ইউনিটের মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সব বিভাগ, আইন অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ (বিজ্ঞান ও মানবিক গ্রুপ) জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে (মানবিক গ্রুপ ) আবেদন করার সুযোগ পাবে।

উচ্চ মাধ্যমিকের (সকল গ্রুপ) শিক্ষার্থীরার ডি-১ উপ-ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষা অনুষদভুক্ত ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবে।

‘ডি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ (আংশিক) ও জীববিজ্ঞান অনুষদের দুটি বিভাগের (আংশিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে সর্বনিম্ন জিপিএ-৭ এবং একটিতে জিপিএ-৩.২৫ থাকতে হবে৷

‘ডি১’ উপ-ইউনিটের অধীনে শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে সর্বনিম্ন জিপিএ-৬ এবং একটিতে জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে৷

ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি-
গতবারের ন্যায় এবারও ভর্তি পরীক্ষা ৬টি ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২৭ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিট, ২৮ অক্টোবর ‘ডি’ ইউনিট, ২৯ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিট, ৩০ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিট এবং ৩১ অক্টোবর ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তির বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট http://admission.cu.ac.bd/ থেকে জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!