জাহেদুল ইসলাম : লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম পাশে বাহির খালের উপর সদ্য নির্মিত হয়েছে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি ব্রীজ। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ২০,২৯,০৯৬ টাকা ব্যয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের লোহাগাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নের অধিনে সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটির নির্মাণ কাজ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রিগ্যান এন্টারপ্রাইজ, বান্দরবান।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বাহির খালের উপর নির্মিত সেতুটির উভয় পাশের সাইড ওয়ালের পাশে কোন প্রকার মাটি নেই। সেতুটি নির্মিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কোন সড়ক নেই। বাহির খালের পাড়কে সড়ক তৈরি করে বাহির খালের উপর সেতুটি নির্মানের বাস্তবায়ন হাতে নেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কার্যালয়। সেতুটি দেখা যায় সড়ক আছে কিনা বুঝা যায় না। যেটিকে মুলত সড়ক বলা হচ্ছে সেটির প্রায় অংশ ফসলি জমির সাথে মিশে আছে। সাধারণ পথচারীরা কষ্ট করে চলাচল করলেও কোন প্রকার রিক্সা, মোটর সাইকেল ও যান চলাচল করছে না।
ওই এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী কহিনুর আক্তার বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় খুবই খুশি। তবে সড়ক না থাকলে সেতুটি কোন মূল্যায়ন নেই। সেতুটি নির্মান হলেও পূর্ণাঙ্গ ভাবে কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেতুটির উভয় পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। সেতুটির পাশে যে মাটি ছিল তাও অতিবৃষ্টির সময় সরে গেছে। বর্ষার ভরা মৌসুমে থৈ থৈ পানির মাঝে ব্রীজটি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। ৩/৪ মাস হয়েছে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে উদ্ভোধন করেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসনদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
স্থানয়ীরা বলেন, সেতু থাকলে সড়ক দরকার। সড়ক ছাড়া সেতুর কোন মূল্য নেই। সেতুটির সাথে যে সড়কটি বিদ্যামান সেটি মুলত বাহির খালের পাড়। খালের পাড়কে সংস্কার করে সড়কে রুপান্তর করা হয়। বর্ষার মৌসুমে সংস্কারকৃত সড়কটি জমির সাথে মিশে যায়। সেতুটির কাজেও অনিয়ম হয়েছে। তদারকির অভাবে সেতুটি এভাবে পড়ে রয়েছে। সড়ক সংস্কার ও সেতু নির্মাণ যথাযথ হলে এলাবাসী বেশী উপকৃত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ হবে। উপকৃত হবে ২ গ্রামের বাসীন্দা।
বাহির খালের উপর নির্মিত সেতুটি পরিদর্শনে গেলে সেতু নির্মাণের ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক শংকর প্রতিবেদককে কোন প্রকার প্রতিবেদন না করার জন্য মুঠোফোনে অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদনে সেতুটির নির্মাণ কাজ যথাযথ হয়েছে লিখবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, সেতুটি লোহাগাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় যথাযথ ভাবে নির্মাণ হয়েছে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। শতভাগ কাজ আদায় হয়েছে। গত ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সেতুটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেন। সড়কটি সংস্কারের অভাব রয়েছে। প্রকল্প পেলে সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু হবে।