
নিউজ ডেক্স : সরকারি চাকরিতে থেকে ডা. সাবরিনা আরিফ তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে কারও না কারও সহযোগিতা পেয়েছেন বলে মনে করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের প্রয়োজনে এই সহযোগিতাকারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতির ঘটনায় ডা. সাবরিনাকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে শনিবার মিন্টু রোডে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।

জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া পরীক্ষার সনদ দিচ্ছিল। জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী ডা. সাবরিনার স্বামী। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন। জেকেজির দুর্নীতির মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার সাবরিনাকে গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর সরকারি চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। জেকেজির কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডা. সাবরিনা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ডিবি কর্মকর্তা বাতেন বলেন, নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও সহযোগিতা পেয়েছেন। সহযোগিতা না পেলে একাজগুলো করার কথা না।
তদন্তের জন্য যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি বলেন, সাবরিনা সরকারি চিকিৎসক হিসেবে তার ‘ফেইসভ্যালু’ ব্যবহার করে জেকেজির স্বার্থ হাসিল করেছেন। যেমন প্রাথমিকভাবে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় একটা প্রজেক্ট তৈরি করেছিল। সেই প্রজেক্টটাও তারা যে পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ এবং কোভিড রোগীদের যে সার্ভিস দেওয়ার কথা ছিল তা তারা দেয়নি।
এই দুর্নীতির তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তদন্তকারী সংস্থা ডিবি কর্মকর্তা বাতেন বলেন, তদন্ত শেষে অনিয়ম পেলে ক্রিমিনাল অপরাধগুলো রেকর্ডে নিয়ে আসব আর যেগুলো অনিয়ম ‘ডিপার্টমেন্টাল’ সেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। সাবরিনার মতো আরিফুল চৌধুরীও বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।