নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় এক ফেরিওয়ালাকে অপহরণের ঘটনায় ছয় অপহরণকারীকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। অপহৃতের নাম মহ্দ্দিীন (৫২)।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী হলো মো. মিনহাজ (১৯), কোরবান আলী (২৩), মো. ইকবাল (২৭), মো. শাওহন (২১), আবুল মোমেন (২০) ও মো. রাকিব (১৯)।
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া মাদারবাড়ির বাদশার পাড়া কেফায়েত উল্লাহর বাড়া বাসা থেকে ঢেকে মহিউদ্দীনকে অপহরণ করে সিএনজি টেক্সিযোগে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুকুর পাড়ের পশ্চিম পাশের পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সকাল ১০টায় দিকে অপহৃতের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন অপহরণকারীদের আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং অপহৃতকে উদ্ধার করে।
অপহৃত মহিউদ্দীন বলেন, “আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনার কেঁওচিয়া মাদারবাড়ী এলাকার বাদশা পাড়ার কেফায়েত উল্লাহর ভাড়া ভাসায় বসবাস করে আসছি। আজ সকাল ৮টার দিকে মাদারবাড়ি এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে মো. মিনহাজ আমাকে বাসা থেকে ঢেকে রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপর একই এলাকার আমির হোসেনের পুত্র কোরবান আলী, মো. ইসমাইলের পুত্র ইকবাল, মো. আমিনের পুত্র শাওন, ঢেমশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢেমশা হাঙ্গরকুলের আলতাফ মিয়ার পুত্র মোমেন ও আব্বাস উদ্দিনের পুত্র রাকিব জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে তুলে হাত বেঁধে, মুখ চেপে ধরে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নোয়া পুকুরপাড়ের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে নিয়ে যায়। তখন তারা আমাকে মারধর করে এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অপহরণকারীদের আটক করে গণপিটুনি দেয় ও আমাকে উদ্ধার করে।”
পুলিশ জানায়, সোনাকানিয়া এলাকায় ছয় অপহরণকারীকে আটক ও এক অপহৃতকে উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর অপহৃতকে উদ্ধার ও জনতার হাতে আটককৃত অপহরণকারীদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অপহৃতের স্ত্রী শামসুন নাহার বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আজ বুধবার আদালতে হাজির করা হবে। -আজাদী অনলাইন