নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে পল্লী চিকিৎসকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক কন্যা শিশু। বড় ভাইয়ের পায়ের ব্যান্ডেজ ড্রেসিং করাতে পল্লী চিকিৎসক তাফসির উদ্দীন (২৬) ফার্মেসীতে যায় শিশুটি। শিশুটিকে মুখে ওষুধ লাগিয়ে দেয়ার কথা বলে ফার্মেসীর পেছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই পল্লী চিকিৎসক।
বুধবার বিকেলে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেঁওচিয়া ছহির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক তাফসির উদ্দীন (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে লোহাগাড়া উপজেলার জঙ্গল পদুয়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র।
পুলিশ সূত্র ও শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাত পায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির বড় ভাই। গতকাল বুধবার বিকেলে ভাইয়ের পায়ের ব্যান্ডেজ ড্রেসিং করাতে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাফসির উদ্দীনের ফার্মেসিতে যায় শিশুটি। ড্রেসিংয়ের পরে বড় ভাইকে দোকানের সামনে বসিয়ে রেখে শিশুটিকে মুখে ওষুধ লাগিয়ে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত আটক করে থানায় নিয়ে আসে থানার এসআই আক্কাস আলী।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবীর বলেন, ছদাহায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবার মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। -পূর্বকোণ