শুভ্রা নীলাঞ্জনা : সন্দেহ প্রবণ স্বামী বা স্ত্রী যদি কারো কপালে পড়ে, তাইলেই হইছে জীবন এই জনমের জন্য শেষ। একজনের মনোভাব সব সময় ছাইরা দে কাইন্দ্যা বাঁচি। কিন্তু বললেই তো হবে না,সামাজিক দায় বদ্ধতা আছে।একসাথে থাকতে হবে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।
এই রকমই এক দম্পত্তি । স্ত্রী আন্দাজি সন্দেহ করে নিরীহ স্বামী টারে জালাইয়া মারে। স্বামী টা কোন ঠাঁসা হইতে হইতে মৃত প্রায়। সব সময় আতংকের ভিতর থাকতে থাকতে হার্ট এর প্রব্লেম শুরু হইছে । সত্তিকার অর্থে লোক টা কারো সাতে পাঁচে নাই। সেই স্বামীর বিরুদ্ধে মহিলার যত ইলজাম।

স্বামী অফিস থেকে এসে শার্ট টা ঝুলিয়ে রাখল স্ত্রী দৌড় এ শার্ট টা পাত্তি পাত্তি করে খুঁজে লম্বা একটা চুল বের করল। চুলটা কিন্তু তার নিজের। শুরু হইল মহা তুল কালাম ।আজ আমার এক দিন তো তোমার তিন দিন। স্বামী মানে কি? আমি কোথায় যাব? স্ত্রী ও আল্লা গো আমার কপালে এই ছিল ।তার আগে আমার মরণ হইল না ক্যান?
২য় দিন স্বামী অফিস থেকে এসে আবার শার্ট টা ঝুলিয়ে রাখল ।স্ত্রী কোথা থেকে ঝড়ের বেগে শার্ট টা টান দিয়ে নিয়ে আবার ছোট একটা চুল বের করল। এইটা লোক টারই চুল। স্ত্রী হায় আল্লা আজকে আবার বব কাট মেয়ের সাথে গেছিল গো। আল্লা গো আমারে নিয়া যাও এই মুখ আমি আর কাউরে দেখাইতে চাইনা গো। এই লোকের ঘর আমি আর করুম না। ভিক্ষা কইরা খাব তাও না।
৩য় দিন স্বামী ভয়ে বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আচ্ছা রকম শার্ট টা ঝারল।মনে মনে বলল আল্লা আমারে এই দুযখ খানা থেকে নিয়া জাও।শার্ট টা রাখার আগেই স্ত্রী, দেখি শার্ট টা আমারে দেও দেখি ।ভাল করে দেখল ।কোথাও কিছু নাই। স্বামী হাফ ছেড়ে বাঁচল।যাই হউক বাঁচা গেছে। হটাৎ স্ত্রীর গগন বিদারী চিৎকার। আল্লা গো আমি কই যামু আজকে ন্যাড়া মাথার মহিলার সাথে ডেটিং করতে গেছিল গো।