এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় বিষপানে নিহত নারীর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনে বাঁধা দিচ্ছেন দ্বিতীয় স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নিহত নারীর ময়নাতদন্ত শেষে স্বামীর বাড়িতে লাশ আনার পর দাফনে বাঁধা দিচ্ছেন তারা। রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত নারীকে কবরস্থ করা হয়নি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন।
নিহত সফুরা খাতুন (৪৫) উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের জঙ্গল বড়হাতিয়া এলাকার মোস্তফা আলীর ২য় স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী।
জানা যায়, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ওই এলাকার ভাড়া বাসায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন সফুরা খাতুন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, ৪ বছর পূর্বে সফুরা খাতুনের প্রথম স্বামী আবুল কাশেম মারা যান। এরপর সফুরা খাতুনের সাথে প্রতিবেশী মোস্তফা আলীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং ৩ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সফুরা খাতুনকে নিজ বসতঘরে না নিয়ে ভাড়া বাসায় রাখেন মোস্তফা আলী। দ্বিতীয় সংসারে সফুরা খাতুনের কোন সন্তান নেই। মোস্তফা আলীর প্রথম সংসারে ৬ সন্তান রয়েছে।
স্বামী মোস্তফা আলী জানান, সামান্য তর্কবিতর্ককে কেন্দ্র করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছফুরা খাতুন।
সফুরা খাতুনের প্রথম ঘরের পুত্র লোকমান হাকিম জানান, সৎপিতা মোস্তফা আলী তার মাকে দফায় দফায় নির্যাতনের পর বিষ জাতীয় কিছু খাইয়ে বা গলাটিপে হত্যা করেন। পরে বিষ পানের গুজব ছড়িয়েছেন। কারণ লাশের মুখে বিষের কোনো গন্ধ নেই। ময়না তদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে আনার পর দাফনে বাঁধা দিচ্ছেন সৎপিতা মোস্তফা আলীসহ পরিবারের সদস্যরা।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, সফুরা খাতুন নামে এক নারী মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দাফন করতে না দেয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। তিনি ব্যাপারে খবর নিচ্ছেন বলে জানান।