লোহাগাড়ায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাত-পা বেঁধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ছাত্রীকে হাত-পা বেধে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টার মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ঐ কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়ে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম পলাতক হয়েছে। ধর্ষনের সময় ঐ ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মুমুর্ষ অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ থাকার পর গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে ফিরেছে। এর আগে ১২ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালস্থ ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডাঃ সৈয়দা মাফরুহা নিগার লোহাগাড়া থানায় এজাহার প্রেরণ করার প্রেক্ষিতে ধর্ষিতার মাকে বাদি করে মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের বিষয়টি লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, থানার এসআই বিকাশ রুদ্রকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক সাইফুল ইসলাম। অনেকটা প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সাইফুল গোপনে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে ধর্ষিতার পরিবার জানিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম কিছু দিন আগে উত্তর আমিরাবাদে সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলে। এলাকার ছেলে সাইফুলের অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর (ধর্ষিতা) ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে উক্ত কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সাথে ঐ ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র তৈরী হয়।

ধর্ষিতা ছাত্রীর মা বলেন, ঘটনার আগের দিন আমি বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শশুড় বাড়িতে যায়। ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম আমাকে মোবাইল ফোনে কোথায় জানতে চাইলে আমি বড় মেয়ের শশুড় বাড়িতে আছি বলে জানায়। এরপর সে আমার ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে গুরতর আহত করে। এসময় আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরই মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সহযোগিতায় লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু এখনো ধর্ষক সাইফুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ রুদ্র বলেন, আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষক যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমরা বিমান বন্দর ও স্থলবন্দর সমূহে বিশেষ বার্তা প্রেরণ করেছি। আশা করি ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।