নিউজ ডেক্স : রোহিঙ্গা নাগরিকদের জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৩ কর্মচারীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলা করা হয়।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামে দুদক সমন্বিত কার্যালয়-১ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। বাংলানিউজ
আসামিরা হলেন- ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসারের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪), চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের সাবেক এমএলএসএস মো. নুর আহম্মদ (৪২), কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন, টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওবায়দুল্লাহ, ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, কক্সাবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যে রোহিঙ্গা ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ, ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এতে ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসারের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪), সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের এমএলএসএস মো. নুর আহম্মদ (৪২), কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন, টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওবায়দুল্লাহ, ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন একে ও অন্যের সহায়তায় নিজে অন্যায়ভাবে লাভবান এবং অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের চট্টগ্রাম-১ এর উপ সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে একটি সংঘবদ্ধচক্র কাজ করেছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও মিলেছে। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।