নিউজ ডেক্স : অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (১৪ মে) সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটের মুদি দোকানি আমির রানা এমন দাবি করেছেন।
আসমা শুঁটকি বিতান ও রহিমা কটেজের স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল বলেন, মোখার তাণ্ডবে সবারই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার দোকানও বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজারের মানুষের বসবাস। মোখার কারণে এর মধ্যে আড়াই হাজার টেকনাফে চলে গেছে। বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে।
বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। পানি প্রবেশ করলে হতাহতের মতো ঘটনা ঘটতো।
গবাদিপশুর নিয়ে তিনি বলেন, যার যতগুলো পশু ছিল, অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আর অনেকে বলছেন বেঁচে থাকলে ঝোপ ও জঙ্গলে পাওয়া যাবে গবাদিপশু।
সেন্টমার্টিনের মতো টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ উপকূলে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের তীব্রতায় উড়ে গেছে ঘরবাড়ির চালাও বেড়া। এছাড়া ভেঙে গেছে গাছপালা। ঘূর্ণিঝড় মোখায় কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বড় কোন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই দুই উপজেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
সেন্টমার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, তুলনাবিহীনভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়েও এত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আল্লাহর রহমত যে, এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকেনি। তবে ঘরবাড়ি, গাছগাছালির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন সেন্টমার্টিন অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কেননা, মোখার কেন্দ্রের প্রভাব ওই দ্বীপটির ওপরে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা নাগাদ মোখার কেন্দ্র উপকূলে ওঠে আসবে সম্পূর্ণভাবে। মোখা এখন উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
মোখার কেন্দ্র মূলত মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্য, সেখানেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজ্যের সিটুই জেলার লোকালয় ইতোমধ্যে ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। -বাংলানিউজ