নিউজ ডেক্স : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে যত বই, প্রকাশনা, দলিল প্রকাশিত হয়েছে- সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক চক্র এবং এদেশের যারা স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল তাদের যোগসাজসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্তদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা যারা প্রণয়ন করেছিলেন তাদের বিচার হয়নি।
‘ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ৫০ বছর পরের প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছিলেন, তাদের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন। তাদের বিচার করা প্রয়োজন।’ বলেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুল, রেজাউল করিম রাজা, এস এম জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য তিনি বাংলাদেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরির যে স্বপ্ন এঁকেছিলেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পরিচয় বদলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ের দরিদ্র বাংলাদেশ এখন নিম্ম মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত সপ্তাহে আমার উদ্যোগে ও কেবিনেট সচিবের আয়োজনে ঢাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য একটা উন্নয়ন সমন্বয় সভা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, রেল, যোগাযোগ, নৌ পরিবহনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চট্টগ্রামের মেয়রসহ সমস্ত উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সেখানে কালুরঘাট সেতু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেটা নিরসনকল্পে আমরা অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। এই জটিলতা নিরসন করে খুব সহসাই কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’ যোগ করেন তিনি।