নিউজ ডেক্স : দেড় বছর ধরে মিঠুন দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শ্যামলীর (ছদ্মনাম)। গত তিন মাস ধরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক। তবে এখন শ্যামলীকে বিয়ে করতে চাইছেন না মিঠুন দাস। নিরুপায় হয়ে তিনদিন ধরে মিঠুন দাসের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন শ্যামলী।
এদিকে, প্রেমিকা আসার খবরে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক মিঠুন ও তার পরিবার। ঘটনাটি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ছোটকাশিপুর গ্রামের।
প্রেমিক মিঠুন দাস (২৫) ছোট কাশিপুর গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় দাসের ছেলে। শ্যামলী (১৮) একই পাড়ার বাসিন্দা। মিঠুন দাস পাটকেলঘাটা বাজারের একটি হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী।
শ্যামলী বলেন, মিঠুন দাসেরর সঙ্গে দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্থানীয় রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ঠাকুরকে সাক্ষী রেখে মিঠুন আমার কপালে সিঁদুর পরিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়। বিষয়টি মিঠুন তার চাচাতো বোন টুম্পাকে বলে তাদের বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করতো। করোনার কারণে তিন মাস আগে বাড়িতে আসার পর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে মিঠুন। কয়েকদিন আগে মিঠুনকে স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দিলে আমাদের গোপন ভিডিও বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বিষয়টি বাবা মাকে জানাই। এখন মিঠুনের স্ত্রী হওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. জেল্লাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের এসআই প্রদ্যুৎকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তবে মেয়েটি লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ দিচ্ছে না। লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা আইনগতভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। জাগো নিউজ