Home | শিক্ষাঙ্গন | প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তিন মামলা : আসামি ২০

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তিন মামলা : আসামি ২০

image-21037

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইলে পদার্থ বিজ্ঞনের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী, খুলশী ও ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানায় মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।

পরীক্ষার কেন্দ্র কর্তৃপক্ষই মামলা তিনটির বাদী। এতে ১৮ পরীক্ষার্থী ও এক শিক্ষকসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই মেয়েও রয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এমরান হোসেন বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ মোরাদ আলী বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা পটিয়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীবাহী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে উঠে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া ৯টি মোবাইল ও উত্তরপত্র জব্দ করে।

এ ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্রের বিজ্ঞান বিভাগের ২৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং কেন্দ্রের একজন শিক্ষকসহ ৮ শিক্ষাথীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে বাওয়া স্কুলের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী বোনের বিষয়টি উঠে আসে। ফলে ওই দুই শিক্ষার্থীকেও আটক ও বহিষ্কার করা হয়।

একইভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭ শিক্ষার্থীকেও আটক ও বহিষ্কার করা হয়। আর এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি, খুলশি ও ফটিকছড়ি থানায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ মোরাদ আলী মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, কোতোয়ালী থানার মামলায় ওয়াসা মোড় থেকে শ্যামলী পরিবহণের বাসে চড়ে আসা পটিয়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নয় শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষিকাকে আসামি করা হয়েছে।

খুলশী থানার মামলায় পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউট থেকে আটক বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের ছাত্রী দুই বোন ও তাদের বাবা এমরান হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রের সচিব বাদি হয়ে এই মামলা করেছেন।

খুলশী থানার এস আই হেলাল উদ্দন বলেন, দুই পরীক্ষার্থী বোনের বাবা পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইল ফোন থেকে প্রথম প্রশ্ন বের করে উত্তর মেলাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অন্য অভিভাবকরা হৈ চৈ করলে তিনি মোবাইল রেখে পালিয়ে যান। তাদের বাবা এমরান হোসেন নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলে স্বীকার করেন তিনি।

এদিকে ফটিকছড়ি হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকা থেকে আটক সাতজনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান ভুজপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ।

তিনি জানান, ওই সাতজন ফটিকছড়ির বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া জেবুন্নেসা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং চিকনছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!