নিউজ ডেক্স : অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর সকালেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসায় ইতোমধ্যে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী তার বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকান্দর ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ।
বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখের পাশাপাশি ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে একসময়ের কমিউনিস্ট পার্টি ও পরে আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্দেশনা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি জানান, গত কিছুদিন ধরে রাঙ্গুনিয়ার সাবেক এই সংসদ সদস্যের অমানবিক জীবনযাপন ও অসুস্থতার সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়। সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে রবিবার সকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ। চিকিৎসার অভাবে পায়ে পচন ধরেছে তার।
১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ ইউসুফ। এর মধ্য দিয়ে ’৭৫ এর পর রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পতাকা উড়িয়েছিলেন তিনি। ধস নামিয়েছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাম্রাজ্যে। তিনি সংসারি না হয়ে অবিবাহিত অবস্থায় কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের পুরোটা সময়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহই প্রথম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাবেক এ এমপির সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগরে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলাফেরায় অক্ষম ও বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।