নিউজ ডেক্স : মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ২ মে প্রতিবেদন পুলিশ সদর দফতরে জমা দেয়। ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, এসআই ইকবাল ও এসআই ইউসুফের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনের
হত্যার দায় স্বীকার করে তিনজনের জবানবন্দি : সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। রাফিকে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনজনই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, রাফি হত্যার আলামত উদ্ধার ও শনাক্তকরণের জন্য মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহমেদকে একদিনের রিমান্ড শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আলোচিত এ মামলায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাফি মারা যান।