নিউজ ডেক্স : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় তিন সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) তিন এমপিকে এমন হুঁশিয়ারির চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখার উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠেছে শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হাসান, ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও ঝিনাইদহ-১ মো. আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে।
তাদের কাছে পাঠানো পৃথক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন চলমান রয়েছে। এসব নির্বাচনে অনুসরণের নিমিত্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রণীত নির্বাচন আচরণ বিধিমালা কার্যকর রয়েছে। আচরণ বিধিমালায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমান অধিকারের বিষয় বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো এলাকায় আচরণ বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, যা আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংসদ সদস্যকে উক্তরূপ বিধি বিধান সদয় অবগতির জন্য এখানে পুনরুল্লেখ করা হলো।
আইন প্রণেতা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বা তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিতও বটে। এ রূপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য এড়াতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী। এক্ষেত্রে কমিশন সংসদ সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। তথাপিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ রূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতে পারে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং ভোট শেষে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন। এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণবিধি আপনি প্রতিপালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন আশা প্রকাশ করে। -বাংলানিউজ